
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল এবং উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিতে সম্ভাব্য সমস্ত ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগগুলো খুঁজে বের করা অপরিহার্য।
রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি ওমানের মাস্কাটে চলমান ভারত মহাসাগর সম্মেলনে ‘মেরিটাইম সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরণ: বাধা অতিক্রম এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি’- শীর্ষক অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা ভারত মহাসাগরজুড়ে অংশীদারিত্ব জোরদার, উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং এই অঞ্চলের অসাধারণ সুযোগগুলো গ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্ত উপকূলীয় দেশ, সেইসঙ্গে আশেপাশের সমুদ্র এবং উপসাগরের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিশ্বাস, সম্মান এবং অভিন্ন স্বার্থে এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সামুদ্রিক সংযোগ সহজতর করতে হবে, বাণিজ্য বাধা কমাতে হবে। পণ্য, সেবা ও জনগণের দক্ষ চলাচলের সুবিধার্থে খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, পানি সহযোগিতা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং বৈশ্বিক জনসাধারণের পণ্যের ন্যায্য প্রবেশাধিকারের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশ সামুদ্রিক সহযোগিতাকে জোরালো গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
মূল সামুদ্রিক রুটে দুর্বলতার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জ্বালানি সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানান তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি, মানবপাচার, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা এবং অন্যদের মধ্যে অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার সামুদ্রিক নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, বন্দর জট, ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, নিয়ন্ত্রক, অপারেশনাল এবং প্রশাসনিক সমস্যা, সাইবার আক্রমণ, জলদস্যুতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মতো অনেক চ্যালেঞ্জের জন্য সামুদ্রিক সরবরাহ শৃঙ্খল ঝুঁকিপূর্ণ, যা মেরিটাইম সাপ্লাই চেইনের দক্ষতাকে ব্যাহত করতে পারে।