
অবৈধভাবে ভোটার করার অপচেষ্টায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদেরকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
বুধবার ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর। সংবাদ সম্মেলনে এনআইডি উইংয়ের পরিচালক মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, উপ-পরিচালক তকদির আহমেদ, ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক বলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ভোটার করার জালিয়াতি প্রমাণ পাওয়ায় উপজেলা নির্বাচন নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ উপজেলায় ১০৬ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে নিয়ে ভোটার করার অপেচষ্টা করেন তারা।
এনআইডি ডিজি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে। অনিয়মে জড়িত দুজন হলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মামলা করা হয়েছে। তারা গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, এ এলাকায় ১০৬ জনকে ভোটার করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই ১০৬ জনই প্রবাসে থাকেন। স্থানীয় অনেকের বায়োমেট্রিক ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম সনাক্ত করা হয়েছে। এসব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও বিদেশে থাকা লোকের পরিবর্তে অন্যের আঙুলের ছাপ ও বায়োমেট্রিক নেওয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত ভোটার হতে পারত না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এ কাজ চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এ কাজের সবার সহযোগিতা চান তিনি।