
নীলফামারী প্রতিনিধি :
বিএনপি চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গনতন্ত্রের মা, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভা করেছে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ বিএনপি পরিবারের প্রয়াত সদস্যসহ সদ্য প্রয়াত নীলফামারী জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আনিসুল আরেফিন চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সদস্য সচিব ক্বারি মাওলানা মাকসুদুর রহমান।
পরে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার। আলোচনায় অংশ নেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এ্যাড. এস এম ওবায়দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম জনি ও জিয়াউল হক জিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক ও এম এ পারভজ, লিটন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব রশিদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিকুর রহমান বাবলু, জেলা যুবদলের আহবায়ক তারিক আজিজ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রেজওয়ান আকতার পাপ্পু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মিজু বসুনিয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ আরমান প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে ১৯৮৬ সালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে রাতারাতি নির্বাচনে গিয়ে জনগনের সাথে বেঈমানি করেছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে গেছেন। তিনি কোন অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। আর এজন্য দেশের জনগন তাঁকে আপসহীন নেত্রী উপাধি দিয়েছেন। বক্তারা বলেন, একইভাবে গত ১৭ বছর জুলুৃম নির্যাতন সহ্য করে দেশের জনগনের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন।
বিনা দোষে তাঁকে আওয়ামী কারাগারে থাকতে হয়েছে, বিনা চিকিৎসায় বেগম জিয়াকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা। কিন্তু জনগনের অফুরন্ত দোয়া ও ভালোবাসা ছিল এবং আছে বলেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের হৃদয় জুড়ে রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কয়েকটি দল বিএনপিকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলেন, আগামি সংসদ নির্বাচনে জনগনের রায়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে বুঝতে পেরে তারা আবোলতাবোল বকছে। তাই সেসব দলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, আগামি নির্বাচন হবে খুবই কঠিন। এজন্য এখন থেকে জনগনের কাছে গিয়ে ধানেরশীষের পক্ষে কথা বলতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জনগনকে সচেতন করতে হবে। আলোচনা শেষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি ছাড়াও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা