
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীন রাশিয়া বহুদিন যাবত এমন একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিল। এত সহজে যে হাতে এসে যাবে কেউ ভাবতেই পারেনি। নিজে যুদ্ধে না জড়িয়ে ইউক্রেন কে দিয়ে প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকা। আমেরিকা সাধারণত প্রক্সি যুদ্ধ করেই অভ্যস্ত কিন্তু এবার ইরানে আক্রমণ করে রাশিয়া চীনকে প্রক্সি যুদ্ধ করার সুযোগ করে দিল। ইরানকে সামনে রেখে চীন রাশিয়া প্রক্সি যুদ্ধ কাকে বলে শিখিয়ে দেবে এবার ।
বিশ্ব থেকে আমেরিকা যুগের অবসান হচ্ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মুসলমানদেরকে বিশ্ব শক্তি থেকে সরিয়ে দেয়। সেখানে জায়গা নেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতন্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ রাশিয়া কে হটিয়ে বিশ্বের ক্ষমতা তুলে দেয় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটের হাতে। ফ্রান্স জার্মানি লুট করার জন্য ভাগে পায় আফ্রিকা মহাদেশকে।
আমেরিকা এবং ইউরোপ নেয় বাকি বিশ্ব লুটপাট করার ইজারা। বেশ ভালই চলছিল এভাবে। কিন্তু বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য ইহুদিদের থিংক ট্যাংক ফ্রিমেশন আরেকটা বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে চাচ্ছে। সে লক্ষ্যে নিজেদের সংস্কৃতি, সুদভিত্তিক অর্থনীতি, নারীবাদী সমাজ, গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, মাদক, প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, সবকিছু নিজেদের হাতে নিয়েছে এবং প্রয়োজনমতো অন্যের উপর চাপিয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে তারা। ইহুদিদের গবেষণায় জানা গেছে আমেরিকা বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে এবং আল্টিমেট মুসলমানদের হাতে বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইহুদিদের ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা চারটি। ১. ইসলামী সভ্যতা, কৃষ্টি কালচার ও শাসন ব্যবস্থা ২. অজেয় পারস্য সাম্রাজ্যের উত্তরসূরী ইরান। ৩. সাড়ে ৬০০ বছর বিশ্ব শাসন করা ওসমানীয় খেলাফতের কেন্দ্রবিন্দু তুরস্ক। ৪. পরাশক্তি রাশিয়া। পারসিক এবং তুর্কিরা এমন এক জাতি গোষ্ঠী যারা কারো নিয়ন্ত্রণে থাকতে চায় না বরং এরা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এরা ফিরে পেতে চায় নিজেদের হারানো সাম্রাজ্য। আরব বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে এরা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এদের রয়েছে জ্ঞান, গবেষণা, প্রযুক্তি, আত্মত্যাগ এবং বিশ্বায়নে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার ক্ষমতা। যেটা জাজিরাতুল আরব এবং হিজাজ অঞ্চলের কারো মধ্যেই পাওয়া যায় না। ইসরাইল উপরে বর্ণিত চারটা শক্তিকেই পৃথিবী থেকে মুছে দিতে চায়। সে লক্ষ্যে যা করার করছে এবং করবে। সমস্যা হয়েছে দীর্ঘদিন যাবত আরবদের মধ্যে যে অনৈক্য এবং বিভেদ তৈরি করেছিল আরববাসীরা সব ভুলে ধীরে ধীরে এক হচ্ছে। বিশ্বের কোথাও কোথাও ইসলামী শাসন ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি ফিরে আসছে।
তবে যত চেষ্টাই করুক হয়তো ৫০০ কোটি মানুষকে হত্যা করা হবে কিন্তু ইসলামীঁ শাসন ব্যবস্থা আর সংস্কৃতির এই ফিরে আসাকে কোনভাবেই আটকাতে পারবেনা ইজরায়েল এবং তার ধামাধরা আমেরিকা। ইরানের সাথে আপোষ না হলে খেলা এবার জমবে। দীর্ঘ মেয়াদী খেলা। আমেরিকা ইসরাইলের পতনের খেলা। মানুষ হত্যা আর শহর নগর ধ্বংস করার খেলা।