
ম্যাচে প্যাট কামিন্সের শিকার ৭ উইকেট, মিচেল স্টার্কের ৮টি, স্কট বোল্যান্ডের ৫টি
অ্যাডিলেড ওভালে অধিনায়কত্বের দারুণ উদাহরণ স্থাপন করলেন প্যাট কামিন্স। তার অসাধারণ পাঁচ উইকেটের ঝড়ে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে বর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।
শেষ দিনে ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রানে পিছিয়ে পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে শুরু করেছিল। কিন্তু শুরুতেই মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রিশভ পান্ত দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর ভারতের লোয়ার-অর্ডারকে একের পর এক শর্ট বলের মুখোমুখি করেন প্যাট কামিন্স। আর সেই কৌশল সফল হয় দ্রুতই।
৩৩ হাজারের বেশি দর্শক এসেছিলেন সাতসকালেই। একটু পরের দিকে যারা আসতে চেয়েছিলেন, তাদের নিশ্চয়ই মাথায় হাত। ম্যাচ শেষ করতে যে এক সেশনও সময় নিল না অস্ট্রেলিয়া! তিন অস্ট্রেলিয়ান পেসারের আগুনে বোলিংয়ের সামনে কেবল ইনিংস পরাজয়ই এড়াতে পারল ভারত।
ম্যাচে কামিন্সের উইকেট ৭টি, মিচেল স্টার্কের ৮টি, স্কট বোল্যান্ডের ৫টি। তিন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিলেই শিকার করেছেন ভারতের ২০ উইকেট। তবে বোলারদের এমন পারফরম্যান্সের ম্যাচেও ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড।
ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। ৫ উইকেটে ১২৮ রান নিয়ে শনিবার দিন শেষ করে ভারত। তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে কেউ ভোগাতে পারলে সেটি হতে পারতেন রিশাভ পান্ত। কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্ক বিদায় করে দেন বিপজ্জনক এই ব্যাটসম্যানকে। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়, ম্যাচ খুব একটা লম্বা হচ্ছে না।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান নিতিশ কুমার রেড্ডি জীবন পান দুই দফায়। প্রথমটিতে স্টার্কের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি স্মিথ, একটু পর কামিন্সের বলে ব্যর্থ হন ট্রাভিস হেড। এর ফাঁকে দারুণ দুটি শর্ট বলে রাভিচান্দ্রান অশ্বিন ও হার্শিত রানাকে ফেরান কামিন্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৮০ (নিতীশ রেড্ডি ৪২; মিচেল স্টার্ক ৬/৪৮) ও ১৭৫ (নিতীশ রেড্ডি ৪২; প্যাট কামিন্স ৫/৫৭)
অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৭ (ট্রাভিস হেড ১৪০, মার্নাস লাবুশানে ৬৪; জাসপ্রিত বুমরাহ ৪/৫৯, মোহাম্মদ সিরাজ ৪/৯৮) ও ১৯/০
অস্ট্রেলিয়া জয় পেল ১০ উইকেটে।