
ক্রাইম রিপোর্টার :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বসত ঘরের সামনে ময়লা ফেলার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ কামাল হোসেন নামে এক আইনজীবিসহ আরো ৫ জনকে মারধর করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় মারধরের শিকার ওই আইনজীবি বাদী হয়ে পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ মুসা,স্ত্রী মোসাঃ মাহফুজা, ছেলে মুন্না ও মেয়ে মারিয়া, ছেলের স্ত্রী নুসরাত জাহানদের বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামস্থ আইনজীবি মোঃ কামাল হোসেনের বসত বাড়ীর শিরির সামনে মুছার স্ত্রী ময়লা আবর্জনা ফেলে রেখে যায়। বিষয়টি অ্যাডভোকেট কামাল তার বড় বোন পারুল আক্তারকে জানায়।পরে পারুল আক্তার তার বাড়ীতে আসে এবং মোঃ মুসা ও তার স্ত্রীকে ময়লা ফেলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।এসময় কামাল হোসেন তাদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে তারা পারুল আক্তার, বোন জামাতা আহম্মেদ ভুইয়া ও কামাল হোসেনের স্ত্রী আইরিন আক্তার ও কামাল হোসেনের ভাতিজী জান্নাতুলকে তারা এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম।কামাল হোসেন তাদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা তাকেও এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে মৃতপ্রায় অবস্থার সৃষ্টি করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।যেগুলি অ্যাডভোকেট কামালের বনের মেয়ে তার মতো ফোনে ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করে অতঃপর হীরা মেম্বার এটিকে দেখতে পেয়ে তার হাতের ফোন ছিনিয়ে নেয় পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা জন্য প্রথমে সিরাজিখান জেনারেল হসপিটালে নিয়ে যায় এবং পরে সেখান থেকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠায়।
মারধরের শিকার আইনজীবি কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন,সকালে উঠে দেখি রুমের সামনে মুসা ভাইয়ের বউ তাদের ময়লা গুলো ফেলে রেখে গেছে। বিষয়টি বড়বোনকে জানালে সে আমাদের বাড়ীতে এসে বড় ভাই মুসা ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে মুসাসহ তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে ও ছেলের বৌ মিলে গালিগালাজ শুরু করে। আমি তাদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তারা আমিসহ আমার স্ত্রী ও বোন,বোন জামাতা,বাবী ও ভাতিজিকে পিটিয়ে আহত করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমি এর যথাযথ শাস্তি চাই ।
অভিযুক্ত মুসাকে তার মুঠোফোনে কল করে না পেয়ে ছেলে মুন্নার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমাদেরকে আগে ওরা মেরেছে।আত্নরক্ষায় আমি তাদের মেরেছি।আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত মোঃ হাবিবুর রহমান জানান,উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।