
দেশের উপকূলীয় নৌপথে প্রথমবারের মতো ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনে গিয়েছিলেন কয়েকজন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার ২৬ মার্চ ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে ঢাকা-ভৈরববাজার-ঢাকা রুটের নতুন এক জোড়া কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। এর আগে সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে নতুন ট্রেনটি ভৈরববাজার থেকে এসে তিন নম্বর প্লাটফর্মে থামে। এসময় ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রেলপথ উপদেষ্টা। এবং যাত্রীদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, আপনারা জানেন যে গত পরশু আমি এবং আমার সহকর্মীবৃন্দ আমরা গিয়ে সন্দ্বীপে একটা ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেছি। ওখানে সব উপদেষ্টা কিন্তু উদ্বোধনের জন্য যান নাই। উদ্বোধনের জন্য গেছেন শুধু নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা। আর আমি গিয়েছিলাম সেখানে বিআরটিসি বাস সার্ভিস উদ্বোধন করার জন্য। বাকি যেসব উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারী গিয়েছিলেন তারা এলাকা দেখার জন্য। পানিসম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা সেখানে বেড়িবাঁধগুলো দেখেছেন। সেখানের এনভারমেন্ট দেখেছেন। স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী হাসপাতাল দেখেছেন। প্রাইমারি শিক্ষার উপদেষ্টা প্রাইমারি শিক্ষার বিষয়গুলো দেখেছেন।
তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনূস আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার বাইরে উন্নয়নকে পৌঁছাতে হবে। আমাদের উন্নয়ন হবে নামফলক-বিহীন উন্নয়ন। কারো নাম ফলকে থাকবে না। আমরা যে ঘাট উদ্বোধন করেছি সেখানে কারো কোো নাম নেই। শুধুমাত্র সময়টি উল্লেখ আছে। আমরা নামফলক-বিহীন উন্নয়নের যুগ সূচনা করতে চাই।