
আমাদের ৫ই আগস্টের পূর্বের কর্মী দরকার” — এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন
জনপ্রিয় দৈনিক জনজাগরণ পত্রিকার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এই স্মারক তুলে দেন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং মিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিহাব উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, “আমাদের ৫ই আগস্টের পূর্বের কর্মী দরকার। পাঁচ আগস্টের পর যারা সুযোগ সন্ধানী, সুবিধাবাদীভাবে দলে এসেছে, তাদের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে প্রয়োজন নেই।”
বর্তমান রাজনীতির বাস্তবতায় তিনি চান আগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদেরকেই নেতৃত্বে রাখতে, যারা আন্দোলন-সংগ্রামের সময় রাজপথে ছিলেন।
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটে সুসংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থানায় থানায় নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
৩১ দফা কর্মসূচিতে রয়েছে — নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনের দলীয়করণ মুক্তকরণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ,স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এজেন্ডা।
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “এই ৩১ দফা শুধু একটি রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র নয়, এটা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ও উন্নয়নের রূপরেখা।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন, প্রশাসনের দলীয়করণ মুক্তকরণ, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, বেকারত্ব দূরীকরণ, স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নসহ বহু বিষয়ে আমরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছি।”
উল্লেখ্য, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রায় ৪০০টির বেশি মামলার আসামি হন। তিনি জেল, রিমান্ড, নির্যাতনের শিকার হয়েও রাজনীতিতে তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। তিনি একাধারে তেজগাঁও কলেজের নির্বাচিত ভিপি, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত রমজানে তার নেতৃত্বে গরিব ও দুস্থদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।
নেতাকর্মীদের মতে, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন শুধু একজন নেতা নন, তিনি কর্মীবান্ধব একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ, যিনি ঢাকা-১৮ আসনের বাইরেও ঢাকা মহানগর উত্তরজুড়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে চলেছেন।
তার ছত্রছায়ায় বর্তমানে সংগঠন আরও সুসংহত হচ্ছে। তার উদ্যোগে ৩১ দফা আজ প্রতিটি ইউনিট পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হবে।