
অপারেশন ডেভিল হান্টে সাভারে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে সাভার মডেল থানায় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাভারের বিভিন্ন স্থানে ও রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সাভারের বনাগাঁও ইউনিয়ন এলাকার সাধাপুর পুরানবাড়ি মহল্লার মৃত ইসরাফিল হাওলাদার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন , একই ইউনিয়নের বলিয়ারপুর মধ্যপাড়া মহল্লার মৃত বশিরউদ্দিনের ছেলে মো. রুহুল আমিন , সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজাশন মহল্লার মো. শাহ আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন , ডগরমোড়ার সিআরপি মহল্লার মৃত আক্তার মাঝির ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন মাঝি , দিলখুসবাগ মহল্লার মৃত ফয়েজ উল্লাহর ছেলে ও কৃষকলীগ নেতা মো. সেলিম ভূঁইয়া , উত্তর পাড়া মহল্লার মৃত ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে ও সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিবের মামা আখতারুজ্জামান (কুটি মোল্লা), কাউন্দিয়া ইউনিয়নের আ. রশিদ মাস্টারের মেয়ে ও ১ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসমা খানম শিল্পি , একই ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং এমপি মইনুল হোসেন খান নিখিলের পিএস আবু বকর সিদ্দিকি , বাগসাত্রা মহল্লার মৃত আ. মান্নানের ছেলে ও কাউন্দিয়া ইউপি আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক , তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের যাদুরচর মহল্লার মো. মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. নাছির হোসেন , একই ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার কৃষ্ণনগর মহল্লার শাহাদাত হোসেনের ছেলে ও তেঁতুলঝোড়া ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এবং তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক যুবরাজ ইসলাম মিলন , আমিন বাজার ইউনিয়নের বড়দেশী পশ্চিমপাড়া মহল্লার মৃত লাল বাদশা ফকিরের ছেলে ও আমিন বাজার ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. শওকত আলী , কেরানীগঞ্জের কানারচর মহল্লার আলাউদ্দিন আলার ছেলে ও হযরতপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, অপরাধ দমনে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের মতো সাভারে অপারেশন ডেভিশ হান্টে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।