
দৈনিক জনজাগরণ ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ঐতিহাসিক হিজরত নিয়ে মানহানীকর পোস্ট করায় ঢাবির আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের হিন্দুত্ববাদী শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্যের শিক্ষক পদ বাতিল ও তার মৃত্যুদণ্ডের দাবীতে সমাবেশ করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’।
আজ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সোয়া ৪’টায় ঢাবির টিএসসির রাজুতে বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাবির আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের হিন্দুত্ববাদী শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য তার ফেসবুক পেইজে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজি (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার ঐতিহাসিক হিজরত নিয়ে জঘন্যতম কটূক্তি করে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে সে একই বিষয় নিয়ে কটূক্তি করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হিন্দুত্ববাদী শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য বহুদিন ধরে ফ্যাসিস্টদের ছত্রছায়ায় দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলো। তবে এখন সে বিদেশে পালিয়ে পুনরায় কটুক্তি শুরু করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এখনও তার শিক্ষক পদ বহাল আছে।
কাজেই, আমাদের প্রথম দাবী হচ্ছে, তার শিক্ষকত্ব বাতিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির নেতৃবৃন্দ বলেন,
সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। কাজেই, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ে অবমাননা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহীতা। তাই কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম কিংবা প্রিয় নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার এবং উনার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের মানহানিকর বক্তব্য, বিবৃতি, লিখনী ইত্যাদি প্রকাশ করে, বলে, লিখে তবে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সংবিধান সংস্কারের রুপরেখা তৈরির কার্যক্রম চলছে।
কুলাঙ্গার শিশির ভট্টাচার্যের মত আর কেউ যাতে নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ব্যাপারে কটূক্তি করার সুযোগ ও সাহস না পায় তাই আমাদের দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে- সংবিধানের মধ্যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টি সর্বাগ্রে, সর্বোচ্চ মর্যাদায়, সবার উপরে রাখতে হবে এবং উনার আদর্শ কেন্দ্রিক সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
অতএব আমাদের নিম্নোক্ত দুটি দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে হবে-
১. শিশির ভট্টাচার্যের শিক্ষকত্ব বাতিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধানের মধ্যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টি সর্বাগ্রে, সর্বোচ্চ মর্যাদায়, সবার উপরে রাখতে হবে এবং উনার আদর্শ কেন্দ্রিক সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির নেতৃবৃন্দ মুহম্মদ জিয়াউল হক, শাকিল মিয়া, মুহিউদ্দিন রাহাত, রাফসান, সাইদুলসহ আরো অনেকে।
সমাবেশে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সদস্যরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন। যেখানে লেখা ছিলো-
১. “রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রসূলের দুশমন”
২. শিশির ভট্টাচার্যের মত অখণ্ড ভারতে বিশ্বাসীরা রাষ্ট্রদ্রোহী, তাদের ফাঁসি চাই।
৩. সরকারী-বেসরকারী সকল চাকুরী থেকে শিশির ভট্টাচার্যদের বহিষ্কার করো, করতে হবে।
৪. সংবিধান সংস্কারে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রতিফলন থাকতে হবে।
৫. ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাস থামবে না। ইত্যাদি।