
জহুরুল ইসলাম জপি-শেরপুর :
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার — বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী মৃগী নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় আয়োজিত এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও টেকসই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করা। দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় শেরপুর জেলা বিএনপিও এদিন এক প্রাণবন্ত আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা
মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা বিএনপির সুযোগ্য সদস্য সচিব জনাব মামুনুর রশিদ পলাশ, শেরপুর সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জনাব হযরত আলী আরও উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, আতাহারুল ইসলাম আতা, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন,এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সদর আসনের ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী জননেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা।
নেতৃবৃন্দ এ সময় বলেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দল হিসেবেই নয়, বরং একটি জনগণের দল হিসেবে সর্বদা জনকল্যাণমূলক কাজে বিশ্বাস করে। জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো বিএনপির অন্যতম দায়িত্ব এবং এই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অব্যাহত থাকবে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম
শুধু মাছের পোনা অবমুক্ত নয়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরপুর জেলা বিএনপি বৃক্ষরোপণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, খাদ্য বিতরণসহ নানাবিধ মানবিক ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলো ধীরে ধীরে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দের বক্তব্য
শেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন—
“বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবসময় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণে কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজন কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং জনগণের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার একটি প্রতীকী পদক্ষেপ।”
সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী বলেন—
“আজকের মাছের পোনা অবমুক্তকরণ শুধু পরিবেশ রক্ষাই নয়, আমাদের স্থানীয় অর্থনীতি ও কৃষি-ভিত্তিক জীবনযাত্রায়ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা তার বক্তব্যে বলেন—
“বিএনপি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষায় যেমন আন্দোলন করে আসছে, তেমনি সমাজ উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণ করে আসছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা
আয়োজকরা জানান, বিএনপি সবসময়ই গণমানুষের দল হিসেবে মানবিক কার্যক্রমে বিশ্বাস করে। আগামী দিনে দেশব্যাপী আরো ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, চিকিৎসা সহায়তা ও পরিবেশ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে দলটি।
৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহৎ কর্মসূচি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিএনপি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়েই ভবিষ্যতে দেশকে একটি স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবে।