
সাবিনা ইয়াসমিন :
বরিশাল সাপানিয়া,কাগাসুরা বাজার সংলগ্ন রাতের আঁধারে জমি দখল করে একদল। পরদিন সকালে বাধা দিতে গেলে ঘটে রক্তাক্ত সংঘর্ষ। একই জমিতে দুইজন মালিকানা দাবি করছে। প্রথম দাবিদার শান্ত মনি, তিনি জানান ২০১৯ সালে জমিটি ক্রয় করেন এবং রেকর্ড এস এ বি এস সবই তার নামে। তিনি জমিতে দুইটি স্টল এবং বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন ৭ বছর আগে। স্টল দুইটির ভাড়া ও চলমান ছিল শান্ত মনির নামে। তার ডিট কপি তার কাছে আছে। কারেন্ট বিল তার নামে আসে, তার প্রশ্ন তাহলে সে জমিটি কিভাবে বিক্রি হলো, আর কিভাবেই বা অন্য একজন কিনলো তা তার জানা নেই।
দ্বিতীয় জমির দাবিদার সোহেল রানা ২০২৫ সালে জমিটি ক্রয় করে বলে জানান। এবং তিন থেকে চারবার সেই জমিটি রাতের আঁধারে দখল করতে আসে। এখন এলাকাবাসীর প্রশ্নকেন সে রাতের আঁধারে দখলে আসে।
শান্ত মনি সোহেল রানাকে একাধিকবার কাগজ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসতে বললেও সে বসব বসছি বলে আর বসে না। এলাকার লোকজন জানান অনেক জমি কম টাকায় সোহেল রানা ক্রয় করে ঝামেলা বাঁধিয়ে রেখেছে। তার অনেক টাকা এই টাকার উৎস কোথায় সে একটা কোম্পানিতে চাকরি করে বলে জানা যায়। অভিযোগ আছে অদৃশ্য ক্ষমতা আর অবৈধ টাকার পাওয়ারে সোহেল রানা এলাকা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে আতঙ্কে দিন পার করছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
সোহেল রানার স্ত্রী মারজানা বেগম ২৭ আগস্ট রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও কিছু ভাড়াটিয়া মহিলা নিয়ে ওই ঘর দখল করে। এ ব্যাপারে তার স্বামী সোহেল রানার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তার সত্যতা পাওয়া যায় যার কল রেকর্ড রয়েছে।
পরদিন শান্ত মনী মারজান কে জিজ্ঞাসা করতে যায় কেন রাতের আঁধারে তারা এসেছে কাগজ নিয়ে বসার কথা থাকা সত্ত্বেও এতে মারজান সহ তার সাথে থাকা সকলে চিৎকার চেঁচামেচি করে রাগান্বিত হয়ে মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে শান্ত মনির চাচা মিলন দূর থেকে শান্ত হবার কথা বলে এবং জমির দলিল নিয়ে বসার কথা বলে তখন মারজান বটি দিয়ে তাকে কুপিয়ে যখন করে মিলন সহ আরো তিনজনকে। শান্ত মনি তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে সোহেল রানার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের ফেলে রেখে যাওয়া দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে নিয়ে যায়। মিলন রাশিদাসহ বাকিরা শেরেবাংলা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল নিশাত জানান খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনা স্থানে। এবং যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার যদি মামলা দিতে রাজি হয় তাহলে মামলা নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।