
জলঢাকা প্রতিনিধি :
গতকালকে আনুমানিক রাত ৮.০০ নাগাত জাতীয় পার্টি কাকরাইলের অফিস সংলগ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার এবং রাজনীতি নিষিদ্ধ দাবিতে গনঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। এতেই শুরু হয় প্রশাসন এবং গনঅধিকার পরিষদের নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার মধ্যেই মারাত্মকভাবে আহত হন গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূর সহ সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।নুর আহত হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।বাংলাদেশে এটা তোর কত আন্দোলনের অংশ নেওয়া শীর্ষ পচা নেতৃবৃন্দ বলেন নূর স্বৈরাচার আন্দোলনের অগ্রনায়ক। তাকে এভাবে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীর সহ প্রশাসনের লোক হামলা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে খৈলাসের পতন আন্দোলনে অংশ নেওয়া সারাদেশে সাধারণ ছাত্র জনতা রাস্তায় নেমে আসে।তারই ধারাবাহিকতায় আর জলটা উপজেলায় সাধারণ ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয় জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সমাজকর্মী বৃন্দ।আচ্ছা বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলার যুগ্ন সাবেক আহবায় নেওয়াজ নিশান,আব্দুল্লাহ আল নবাব নাহিদ,আহত জুলাই যোদ্ধা আব্দুল হাকিম সাবু।উনারা প্রত্যেককেই নূরের উপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানা এবং চ*** পাঠের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং জিম কাদের সহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।বক্তব্য দিতে গিয়ে সমাজকর্মী আনোয়ার হোসাইন বলেন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে গত ১৫ বছর সুবিধা নিয়েছে তারা কখনো জেলের বাইরে থাকতে পারে না। অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।জলঢাকা উপজেলার ক্রিয়া সংগঠক সাবেক ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল সাজু বলেন এবারের দামি নির্বাচনের আগে এই জিএম কাদের ভারত সফর দিয়ে ফেরত পরবর্তীকাল মিডিয়ার মুখোমুখির সময় বলেছিলেন ভারতের সাথে কি আলোচনা হয়েছে সেটা বলা যাবে না। আমি মনে করি তারাই বক্তব্য দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের সামিল।তাকে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের অগ্রনায়ক ভিপি নুরুল হক নূরের উপর বর্বোচিত হামলার কারণে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।সর্বশেষ ইতি নুরুল হক নূরের ওপর বর্বোচিত হামলার প্রতিবাদে বক্তব্য দিতে গিয়ে নীলফামারী জেলা জাতীয় নাগরিক পাঠের যুগ্ম সমন্বয়কারী,জলঢাকা স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারী,বারং বার তারা বরণকারী নেতা মোঃ মোহাইমেনুর রহমান-সানা বলেন গত ১৫ বছর স্বৈরাচার কত আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশের পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলো যখন আশা হয়ে পড়ছিল রাজপথে কেউ আমার সাহস দেখাতে পারিনি তখন বিপুল হক নূর শেখ হাসিনার পতনে সব সময় শেষ ভাব ছিলেন।বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস লিখতে গেলে নুরুল হক নুর ছাড়া এই ইতিহাস অসম্পূর্ণ।আজ সেই নূরের উপরে হামলা মানে এদেশের সকল বিপ্লবীদের উপরে হামলা করার শামিল।অতি দ্রুত যদি এই হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং প্রশাসনের দ্বারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদেরকেই বিচারের আওতায় আনা না হয় তাহলে যেমনি ভাবে দল মত নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটিয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে বিপ্লবীরা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোন অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ নীলফামারী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে উদার সহ সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসাইন।