
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আসাদ এর দখল বাণিজ্য –
২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার
রিপন আহমেদ, সিনিয়র রিপোর্ট, ঢাকা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সুশৃংখল প্রতিষ্ঠান যার চিন্তা এবং চেতনা অন্যান্য বাহিনীর থেকে আলাদা। সেনাবাহিনীর ভিতর বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে কলুষিত করে রেখেছিল তার ওপর একটি প্রতিবেদন।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান যিনি এমটিএমসির মহাপরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে, এত বড় দুর্নীতিবাজ এবং দখলবাজ সেনা কর্মকর্তা হতে পারে যাহা শুনলে আঁতকে উঠবে সারা বাংলাদেশের মানুষ। অসংখ্য মানুষকে গুম খুনের হোতা ছিলেন এই জিয়াউল আহসান, সেনা কর্মকর্তার আড়ালে তিনি অন্যের জমি দখল, ব্যবসায়ীদের গুম করে তাদের থেকে বড় অংকের টাকা আদায় করতেন এই সেনা কর্মকর্তা। আলোচিত আয়না ঘরের রূপকার ছিলেন তিনি। মোবাইলে আড়ি পাতার মত ভয়ংকর কাজগুলো করতেন। শেখ হাসিনা পতনের পর তাকে বরখাস্ত করা হয় কিন্তু তার প্রেতাত্মা গুলো এখনো বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের গুম খুন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার মত কাজগুলো করতেন এই এই সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। জোয়ার সাহারা মোজায় তার রয়েছে একটি বহুতল ভবন, এই মৌজায় তার রয়েছে ৩০ বিঘা সম্পত্তি, বাউনিয়া মৌজায় আছে ২৫ বিঘা সম্পত্তি, এম টি এম সির মহাপরিচালক হওয়ার সুবাদে সরকারি জমি দখল, পূর্বচলে রয়েছে ৩১বিঘা জমি। উত্তরায় রয়েছে ২১বিঘা জমি, মিরপুর ডিওএসএস এ তার রয়েছে ২১ টি ফ্লাট, বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়েছেন তিনি, দেশে বিদেশে কয়েকশো কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা কিভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন কাদের মাধ্যমে এগুলো গড়েছেন সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। আর তার ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদ, শেখ হাসিনা পতনের পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদ জিয়াউল আহসানের কাজগুলো করছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করে। জোয়ার সাহারা, বাউনিয়া মৌজায় তার অসংখ্য জমি দখল করে নেওয়া বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। সেনাবাহিনীকে যারা কলঙ্কিত করে এই সকল লোকদের কঠোর বিচার হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে।