
শাহনাজ পারভীন শানু :
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি এসিল্যান্ড মোহাম্মদ বাসিত সাত্রার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যে সাংবাদিককে মামলা ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খিলক্ষেত থানায় জিডি করেন সংবাদকর্মী স্বাধীন সরকার। জিডি নাম্বার ২১৩৭/ ইং ৩১/০৭/২৫/ স্বাধীন সরকার খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি দায়িত্ব রয়েছে। তথ্যসূত্র জানা যায় সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩/০৮/২৫/মানববন্ধন আয়োজন করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা। আরো জানা যায়। ঘুষ বাণিজ্য ভাইরাল হয়ে তবুও প্রাইজ পোস্টিংয়ে হলেন পুরুষ্কৃত!!আমিন বাজার থেকে ক্যান্টনমেন্ট সবখানেই এসিল্যান্ড বাসিত’র দুর্নীতির জয়োধ্বনি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নীরব ভূমিকা!স্থানীয়দের অভিযোগ কি এমন মধুর হাঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলে? এত কিছুর পরে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমিতে দায়িত্বরত এসিল্যান্ড মোঃ বাসিত সাত্তার! তবুও সাত্তার বহাল তরিয়তে কেন?উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাঠের চশমা পড়িয়ে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়ে বসে আছে। ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থান ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলে।
প্রথম পর্বে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলের এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার এবং ক্যাশিয়ার সলিমুল্লাহ হাওলাদারের নেতৃত্বে পরিচালিত দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এবার উঠে এসেছে ভয়ংকর কিছু গোপন তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ, যা প্রমাণ করে—এই অফিস এখন সাধারণ জনগণের নয়, বরং একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের দখলে।
গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অর্থ লেনদেন
প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ৪০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক ভুক্তভোগী নামজারির জন্য অপেক্ষা করছেন। অফিস কর্মীরা তাকে ঘুষ ছাড়া “সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়” বলে জানায়। এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার ফোনে “তাড়াতাড়ি মিটমাট করার” নির্দেশ দেন।
নামজারি প্রক্রিয়ায় ‘দালাল ছাড়া ঢুকতে মানা’
সরাসরি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের মুখে শোনা যায় একই কথা—দালাল ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল অফিসে কোনো ফাইল নড়ে না। কিছু দালালের নাম জানা গেছে যারা অফিসের ভেতরে অবাধে চলাফেরা করে এবং তাদের মাধ্যমেই হয় দর কষাকষি। অফিস নয়, যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি!
প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর অফিসের প্রধান গেটে তালা ঝুলে। অথচ ভেতরে চলে বসুন্ধরা, আসিয়ান সিটি, যমুনা গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক। সরকারি অফিসকে প্রাইভেট অফিসে পরিণত করেছেন এসিল্যান্ড সাত্তার, এমন মন্তব্য করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র
প্রতিবেদকের হাতে থাকা ভিডিও ও অডিও ফুটেজগুলোতে উঠে এসেছে:
ঘুষ লেনদেনের সময় হাতে টাকাগুলো গণনা।
ফাইল হাতে নিয়ে “ঘুষের অংক ঠিক হলে
আগামীকাল হবে” বলা।
কিছু কর্মকর্তার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ।
রাজনৈতিক পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট
এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার নিজের পরিচয় দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাসের আত্মীয় হিসেবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি চাইলে সমস্যা না থাকলেও সমস্যা তৈরি করতে পারি। টিভি মিডিয়া আমার হাতে। আমাকে এক চুল পরিমাণ ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল থেকে সরানোর সাধ্য কারো নাই।
কার্যালয়ের কিছু কর্মচারীও
দালাল সিন্ডিকেটের সদস্য!
সলিমুল্লাহ হাওলাদারের নেতৃত্বে কিছু কর্মকর্তা এখন সিন্ডিকেটের অংশ। অভিযোগ উঠেছে, তারা দালালদের দিয়ে নিজেরাই ফাইল প্রক্রিয়া করিয়ে ঘুষের ভাগ নেন।
চিহ্নিত দুর্নীতির ধরনগুলো:
নামজারিতে অর্থ ছাড়া কোনো ফাইল গৃহীত হয় না
সরকারি সময়ে অফিস তালা দিয়ে গোপন বৈঠক
সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া
রাজনৈতিক পরিচয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন
দালাল ছাড়া অফিসে প্রবেশ নিষেধ
ভুক্তভোগীদের দাবি:
“ঘুষ না দিলে নামজারি আটকে যায়, ঠিক কাগজ থাকলেও হাজারো অজুহাত দিয়ে ফাইল বাতিল করে দেয়।”
ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি অফিস এক ভয়ঙ্কর ‘সিস্টেমেটিক দুর্নীতির ফাঁদে’ আটকে আছে। ঘুষ, অনিয়ম, ভয়ভীতি, মিডিয়া দমন—সব মিলিয়ে এ যেন এক অদৃশ্য অপরাধ সাম্রাজ্য।# চলবেই কলম