
সাইমন :
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই সনদ’কে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে তৈরি করতে চায় কমিশন। তার ভাষায়, এই সনদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. রীয়াজ বলেন, “জুলাই সনদ আমাদের আগামীর পথরেখা তৈরি করবে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি আরও জানান, মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত ২০টি বিষয়ের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২টি বিষয়ে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)সহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সংলাপে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মেরুকরণের মাঝে ‘জুলাই সনদ’ হতে পারে একটি সমঝোতার নতুন ভিত্তি, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর রূপরেখা দিতে সক্ষম হবে।