
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের অনেককে শনাক্ত করা যাচ্ছে না, তাই পুলিশ তাদের লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। স্বজনদের সঙ্গে যেসব মরদেহ মিলবে এবং পরিচয় নিশ্চিত হবে, তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আজ সোমবার রাতে ঘটনাস্থলের সামনে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
এখন পর্যন্ত ১৩টি মরদেহ পেয়েছেন জানিয়ে ডিসি বলেন, ‘১২টি মরদেহ সিএমএইচে এবং একটি উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে। সুরতহাল করে যাদের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। যাদের শনাক্ত করা যায়নি, শনাক্তের পরে লাশ হস্তান্তর করা হবে। আর ডিএনএ পরীক্ষা করে রাখা হচ্ছে, যাদের পরিবারের সঙ্গে মিলবে, তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
উদ্ধারকাজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, উদ্ধারকাজ এখন প্রায়ই শেষ পর্যায়ে। ভেতরে কোনো মিসিং নেই। ফাইটার জেটের ধ্বংসাবশেষও সংগ্রহ করা হয়েছে।
মুহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহযোগিতা করেছে। ঘটনা ঘটার পরে অনেককে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল, ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, বার্ন ইউনিট, সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসা হচ্ছে।’ দ্রুত রেসপন্স হয়েছে জানিয়ে মুহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এতে হতাহত কম হয়েছে। আশা করি, আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে।’