
মোঃ আসমাউল হোসেন-কয়রা, খুলনা :
খুলনার কয়রা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাল গুলোতে অবৈধ পাটা দূরত্ব পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তৈরি হচ্ছে জলবদ্ধতা।
উপজেলার ১ নম্বর আমাদি ইউনিয়নের বেশিরভাগ পান নিষ্কাশন হয় ছোট চাঁদ আলী খাল ও গেটের বাল্লা খাল দিয়ে। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কিছু অসৎ মানুষ সরকারি খালে নেট পাটা বসিয়ে জলবদ্ধতা তৈরি করছে।
সময়মত বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আমন ধান রোপন করার বীজ তলা তৈরি করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের। মহারাজ পুর ইউনিয়ন, কয়রা সদর ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেছে সাতবাড়িয়া খাল, কয়রাখাল ও কাশিখাল। তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘার জমির পানি ও বসত ভিটার পানি নিষ্কাশন হয় এসব খালের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা দিয়ে।
সরজমিনে (১৬ জুলাই বুধবার) এসব খাল এলাকা ঘুরে দেখা যায় খালের ভিতর নেট পাটা বসিয়ে আটন দিয়ে মাছ ধরছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছে, সরকারি খালে নেট পাটা বসিয়ে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত করছে কিছু সূইচগেট ও কালভাট অকেজো ও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সময়মত বিলের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে।
আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, খাল গুলো থেকে নেট পাটা ও কিছু সুইচগেট, কালভার্ট ঠিক করে দেয়ার জন্য। তবে সম্প্রতি সময় সরকারি খাল অবমুক্ত করণ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিলেও তেমন আশানুরূপ কার্যক্রম দেখা যায়নি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুলি বিশ্বাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সাতটি ইউনিয়নে সাতটি অফিস বরাদ্দ দিয়েছি, ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দিয়েছি, পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক তাদের জানালে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।