
ক্রাইম রিপোর্টার :
মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ীর ধীপুর ইউনিয়নের ডুলিহাটা গ্রামের মো: হোসাইন (৭) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরিয়ান ওরফে মাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে, রবিবার সকালে ধীপুরের পলাশপুর পেশকারবাড়ি সংলগ্ন জঙ্গল থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত হোসাইন টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার ডুলিহাটা গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। সে আড়িয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে খেলাধুলা করতে শিশু হোসাইন বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যার পরেও বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা। পরে স্থানীয় সূত্রে স্বজনরা জানতে পারেন, বিকেলে তাকে প্রতিবেশী আরিয়ান ওরফে মাহিমের সঙ্গে বাইসাইকেলে ঘুরতে দেখা গেছে।
সেই সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরিয়ান স্বীকার করে জানায় ,শিশু হোসাইনকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ ধীপুর ইউনিয়নের পলাশপুর পেশকার বাড়ী সংলগ্ন জঙ্গলে ফেলে রেখেছে। এতে নিহত শিশুর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে ঘটনা অবহিত করে। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত আরিয়ানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যা করার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় এবং লাশ কোথায় আছে তা জানায়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকাল ৯টার দিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
টংঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এছাড়া ঘাতক আরিয়ান হত্যার কথা স্বীকার করলেও কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে,তার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও হত্যার কারণ জানা যায়নি।