
মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় সারাদেশে প্রথম মাধবপুরের তোহা, উপজেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গর্বিত সাফল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১৬ জুলাই (বুধবার) উপজেলার হাইওয়ে-ইন হোটেল মিলনায়তনে বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও মির্জা স্কলার্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম মির্জা, ফুলকলি পৌর কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল বিধান রায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই বৃত্তি পরীক্ষায় মাধবপুর উপজেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তোহা সারাদেশের মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রথম শ্রেণি থেকে মোট ছয়জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি অর্জন করেছে মোছাঃ সিদরাতুল মুনতাহা, আনিশা মনি রাফা এবং মন্দিরা চক্রবর্তী। সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে অত্রি আহান বিশ্বাস, সায়েম ইসলাম মাহদি এবং মোছাঃ ফারিয়া মির্জা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক অভিভাবক জানান, “আমাদের সন্তানের চেষ্টা ও অধ্যবসায় আমাদের গর্বিত করেছে। এই অর্জন ভবিষ্যতে তাকে আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”
মাধবপুর উপজেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির ছয়জনসহ মোট ১৪ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেণিতে বৃত্তি অর্জন করেছে। সনদ ও ক্রেস্ট হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক এবং নতুন স্বপ্নের দীপ্তি লক্ষ্য করা যায়।
মির্জা স্কলার্স একাডেমির প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম মির্জা বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য তাদের মেধার বিকাশের পাশাপাশি পড়াশোনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
ফুলকলি পৌর কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল বিধান রায় বলেন, “শিশুদের এই অর্জন শুধু বিদ্যালয়ের নয়, এটি পুরো সমাজের জন্যও গর্বের বিষয়। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারবে।”
প্রধান অতিথি সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “আজকের এই শিক্ষার্থীরাই আগামীর নেতৃত্ব গড়ে তুলবে। তাদের সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই বৃত্তি পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই এবং নতুন প্রেরণা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।