
জুলফিকার আলী জুয়েল :
সিলেট ইসলামি ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (আইবিআইটি) এর ছাত্র খায়রুল বাসার হৃদয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ মে, ২০২৫ইং তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১ঃ৩০ টায় সিলেটের হুমায়ুন রশিদ চত্বর সংলগ্ন কুইন্স টাওয়ার এর চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট নং ৪-বি থেকে জানালার গ্রিলের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয় যার মামলা নং ১২, ২৪/০৫/২০২৫ইং।
জানা যায়, মৃত খায়রুল বাসার হৃদয়ের রুমমেট শাহরিয়ার অপূর্ব ঘটানার রাত প্রায় ১২ টার সময় কুইন্স টাওয়ারে তাদের বাসায় পৌঁছালে দরজা খোলার জন্য হৃদয়কে ডাকে। কিন্তু প্রায় ১ ঘণ্টা ডাকাডাকির পরেও দরজা না খুললে কোনও উপায়ান্তর না পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে তারা পুলিশের সাহায্য চায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে জানালার গ্রিলে গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়। উক্ত বিষয়ে হৃদয়ের বাবা মা মুঠোফোনে পুরো ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ঢাকা থেকে সিলেটে যান এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে লাশ নিয়ে সিলেটেই দাফন করেন।
হৃদয়ের মা রিনা বেগম বলেন, তার বর্তমান বাসস্থল সোলমাইদ, ভাটারা থানা, ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা সাবিকুন নাহার জুঁই, পিতা- মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে তার ছেলে হৃদয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ কয়েক বছর। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারের মধ্যেই চরম আকারে মনমালিন্য চলছিল এমনকি ঘটনার পর থেকেই সাবিকুন নাহার জুঁই সহ তার পরিবার পলাতক রয়েছে।
রিনা বেগম আরও বলেন, তার ছেলের সাথে কারও পূর্ব শত্রুতাও নেই। ঘটনার ছবি দেখে তিনি বলেন, এটা কোনভাবেই অপমৃত্যু বা আত্মহত্যা হতে পারেনা। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা ও এর পেছনে সাবিকুন নাহার জুঁই এর পরিবার ও সন্ত্রাসী বাহিনী জড়িত রয়েছে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস।
পরবর্তীতে গত ০৩/০৬/২০২৫ইং তারিখে হৃদয়ের মা রিনা বেগম বাদী হয়ে সিলেটের মেট্রোপলিটন ২য় আদালতে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ২০৬/২০২৫। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।