
ক্রাইম রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বালুচর মৌজার এস এ খতিয়ান নং ২৭৭ আর এস খতিয়ান নং ১১৩১ এস এ দাগ নং ২৪৮৭ আর এস দাগ নং ৩২৫৪ জমির পরিমান ১৬ শতাংশ চৌহদ্দি উত্তরে রাস্তা দক্ষিণে মনোয়ারা পুর্বে আক্তার হোসেন পশ্চিমে সরকারী হালট এ ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর গ্রামের হাজী জোহর আলীর ছেলে হাজী ইসমাইল গংদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ১৯৬৯ সালে হাজী জোহর অলীও মোহাম্মদ আলী মুসল্লীদের ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ১৬ শতাংশ জায়গা ওয়াকফ রেজিস্ট্রার করে দেয়।দীর্ঘদিন মুসুল্লি গন সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। পরবর্তীকালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহের জায়গা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়।সেখানে ১৯৯৩ সালে মোহাম্মদ আলী ও মনোযারা বেগম ৪৭ শতাংশ জায়গা ওয়াকফ রেজিস্ট্রি করে দেন।তারপর থেকেই হাজী জোহর আলীর এক পুত্র হাজী ইসমাইল হোসেন পূর্বেকার ওয়াকফ ১৬ শতাংশ জায়গা জবরদস্তি ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যায়।একপর্যায় সেখানে একটা দালান নির্মাণের চেষ্টা করে।এর বিরুদ্ধে কামাল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আসে একপর্যায়ে নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়।এখন আবারও বাকি জায়গায় গাছ লাগিয়ে বেড়া দিয়ে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
এ ওয়াকফ সম্পতিতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে আদালতে অভিযোগকারী খাসমহল গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন পিতা আলী মিয়া জানান,আমি হাজী ইসমাইল গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করি আদালত এ ওয়াকফ সম্পতিতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।এখন আবার তারা বেড়া দিয়ে ঐ সম্পতি ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে দখল করার চেষ্টা করতেছে আমার মামলা আদালতে চলমান রয়েছে যাহার নং ২৩৩/২০২৩ইং আমি আবার এবিষয়ে আদালতে যাবো।তিনি আরো বলেন সেখানে একটা অবৈতনিক জনকল্যাণমুখী শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এলাকায় কিছু শিক্ষানুরাগী ২০০২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।ইদানীং সেটা বিক্রি করে নতুন উদ্যমে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়।প্রতিষ্ঠানের সেই টিনের ঘরটিও দখলের পায়তারা চলছে ।
অভিযুক্ত হাজী ইসমাইল হোসেনের ছেলে বেলায়েত হোসেন জানান,ওয়াকফার বিরুদ্ধে আদালতে আমাদের মামলা চলমান আপনি আদালত হতে তথ্য নেন।দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা এ সম্পত্তি বহুদিন যাবত ভোগদখল করে আসছি।এসে দেখে যান এখানে আমাদের একটি বহুদিনের পুরাতন টিনের ঘর রয়েছে।