
রাজধানীতে অবস্থিত চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলনমেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিলনমেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশ নেন।
শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে।
মিলনমেলায় শুধু চট্টগ্রামের বাসিন্দা নয়, বিভিন্ন জেলার মানুষ অতিথি হিসেবে মেজবানে অংশগ্রহণ করেন। অষ্টাদশ শতক থেকে পুরোপুরি চট্টগ্রামে চালু হয় এ মেজবানির আয়োজন। শত বছরের অধিক পুরোনো চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা চট্টগ্রামবাসীর এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি দু’বছর পর পর এ ধরনের মেজবান আয়োজন করে থাকে।
হাজার হাজার লোকের পদচারণায় এ মেজবান উৎসবের আমেজে পরিণত হয়। পরিচিতি অনেকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়, নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় মন খুলে কথা বলে একে অপরের সঙ্গে। এ যেন ঢাকার বুকে একখণ্ড চট্টগ্রাম।
ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রামবাসী এ ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবারের মতো আজকের এই মেজবান ও মিলন মেলা আয়োজন করেছে ঢাকায় অবস্থানরত চট্টলাবাসীকে আলাদা আনন্দ ও পরিচিতি দিয়েছে। চট্টগ্রামের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং ভাষাগত স্বাতন্ত্র্য, চট্টগ্রামবাসী এ সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে সবসময় লালন ও ধারণ করে থাকে।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেজবান কমিটির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী। এ সময় নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী ‘চট্টলশিখা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং প্রতিবারের মতো এবারও সমাজের নানা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচজন বিশিষ্টজনকে ‘চট্টগ্রাম সমিতি পদক’ প্রদান করা হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন— চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ডা. মো. আবুল ফয়েজ, শিল্প ও উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলীহুসেইন আকবরআলী এফসিএ, সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মরহুম শাহসুফী মাওলানা আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), চট্টগ্রাম সমিতি ও সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লায়লা সিদ্দিকী এবং পরিবেশ উন্নয়নে বিশেষ অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুকিত মজুমদার বাবুকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন এবং চট্টগ্রাম সমিতিকে পদক প্রদানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর ঐতিহ্যবাহী মেজবানি খাবার দ্বারা আগত সব অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশীয় এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান পরিবেশন করা হয়।