
উপলক্ষ্যটা বড় ছিল বার্সালোনার।ক্লাবের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে আনন্দ উদযাপনের সবরকম প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিল কাতালান ক্লাবটি।প্রতিপক্ষ তলানির দল লাস পালমাস ছিল বলে সেই উৎসব সহজে জয়ে রাঙানোর সুযোগ ছিল দলটির।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা হলো আরও ৯ মিনিট। তারপরও সমতায় ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। এবার নিজেদের মাঠে লাস পালমাসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারল হানসি ফ্লিকের দল।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড সান্দ্রো রামিরেসের গোলে এগিয়ে যায় পালমাস। চমৎকার ফিনিশিংয়ে রাফিনিয়া সমতা টানার একটু পরই জয়সূচক গোলটি করেন ফাবিও সিলভা।
দুই ম্যাচ পর মাঠে ফেরা লামিন ইয়ামাল এদিন দলের হার এড়ানোয় ভূমিকা রাখতে পারেননি।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে লিগ ম্যাচে পালমাসের বিপক্ষে হারল বার্সেলোনা। সেবার তাদের মূল মাঠ কাম্প নউয়েও একই ব্যবধানে জিতেছিল পালমাস।
ওই জয়ের পর এবারের আগে বার্সেলোনার মাঠে লিগে ২০ ম্যাচের ১৮টিতেই পালমাস হেরেছিল, ড্র হয়েছিল অন্য দুটি।
এ নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। পালমাসের বিপক্ষে হারের আগের ম্যাচে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে তারা। এর আগের ম্যাচে রিয়াল সোসিয়াদ ১-০ ব্যবধানে হারায় তাদের। একইদিনে এক লজ্জার রেকর্ড গড়ে তারা। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম লাস পালমাসের বিপক্ষে হারে ক্লাবটি।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটে পালমাসকে এগিয়ে নেন রামিরেস। প্রতিআক্রমণে ওঠে সতীর্থ থেকে বল নিয়ে বক্সে তাকে পাস দেন রদ্রিগেস। সেখান থেকে দারুণ শটে ইনাকি পেনাকে পরাস্ত করেন রামিরেস।
সমতায় ফিরতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা। ৬৭তম মিনিটে গোলটি করেন রাফিনিয়া। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পেদ্রিকে খুঁজে নেন লুক ডি ইয়ং। সেখান থেকে সহজেই পেদ্রি বল বাড়ান রাফিনিয়ার দিকে। বল নিয়ে কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
সমতায় ফিরে স্বস্তিতে থাকা বার্সেলোনা অবশ্য বেশিক্ষণ সেটি ধরে রাখতে পারেনি। ৬৭তম মিনিটে ফাবিও সিলভার গোলে এগিয়ে যায় পালমাস। প্রতিপক্ষ থেকে বল নিয়ে সিলভাকে খুঁজে নেন মুনোস। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কয়েকজনকে কাটিয়ে ইনাকিকে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন সিলভা। পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বার্সাকে।
আজ হারল ঘরের সমর্থকদের সামনে। ৪৯ মিনিটে সান্দ্রো রামিরেসের গোলে এগিয়ে যায় লাস পালমাস। পেদ্রির অ্যাসিস্টে ৬১ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরান রাফিনহা। ৬ মিনিট পর ফাবিও সিলভার গোলে আবারও এগিয়ে যায় পালমাস। সেই গোল আর শোধ করা হয়নি বার্সার। হারলেও ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট লিগে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ তম স্থানে পালমাস।
বার্সার জন্য এই ম্যাচটি ছিল বিশেষ কিছু। ১২৫ তম জন্মদিন পালনের একদিন পর খেলতে নেমে হারল স্প্যানিশ ক্লাবটি। ১৮৯৯ সালে গঠনের পর ক্লাবটি যে জার্সি পরে খেলতে নেমেছিল আজ সেই স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দিতে একই ডিজাইন ও রঙের জার্সি পরেছিল বার্সা।