
এক ম্যাচ পরেই স্বরূপে ইংল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে ফেরালো সমতা। ‘বড়’ রানের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তা দেয়নি এদিন সফরকারীরা। দুই অধিনায়কের শতকের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
এন্টিগায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেতে শনিবার মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩২৮ রান তুলে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় থ্রি লায়ন্সরা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে জিতলে সিরিজটা নিজেদের করে নিতো তারা। অধিনায়ক শাইহোপের শতকে সেই পথেই হাঁটছিল ক্যারিবীয়রা।
অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি, ১২ রানেই হারায় জোড়া উইকেট। তবে এরপর শাইহোপ ও ক্যাসি কার্থি মিলে গড়ে তুলেন ১৪৩ রানের জুটি। কার্থি ৭৭ বলে ৭১ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি।
তবে থামেননি শাইহোপ। এবার সাথী হিসেবে পান শেরফানে রাদারফোর্ডকে। দু’জনে ঝড় তুলেন ইংলিশ বোলারদের উপর, জুটিতে যোগ করেন ৫৭ বলে ৭৯ রান। রাদারফোর্ড আউট হন ৩৬ বলে ৫৪ করে।
এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম শতক তুলে নেন শাইহোপ। যদিও ক্যারিবীয় অধিনায়ক এরপর ইনিংস আর বড় করতে পারেননি, ৪৭ ওভারে ২৯৭ রানে রেখে ফেরেন ১২৭ বলে ১১৭ রানে।
তাছাড়া শিমরন হেটমায়ার ১১ বলে ২৪, রোস্টন চেজ ২২ বলে ২০* ও ১১ বলে ২৩* রান করেন ম্যাথু ফোর্ড। এন্ড্রু টার্নার ও আদিল রাশিদ নেন জোড়া উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উইল জ্যাকস (১২) ও জর্ডান কক্স (৪) আউট হলেও ১১.২ ওভারে ৬৩ রান আসে ফিল সল্টের কল্যাণে। তৃতীয় উইকেটে যিনি জ্যাকব ব্যথলকে নিয়ে যোগ করেন আরো ৪৪ রান। ২০.১ ওভারে ১০৭ রানে ভাঙে জুটি।
সল্ট আউট হন ৫৯ বলে ৫৯ রানে। এরপর অবশ্য জ্যাকবও তুলে নেন ফিফটি, আউট হওয়ার আগে করেন ৫৭ বলে ৫৫ রান। ততক্ষণে অবশ্য লিয়াম লিভিংস্টোন জ্বলে উঠেছেন। স্যাম কারানের সাথে গড়ে তুলেন ১০৭ বলে ১৪০ রানের জুটি।
কারান ৫২ বলে ৫২ রানে আউট হলেও লিভিংস্টোন ঝড় থামেনি। জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার, অপরাজিত থাকেন ৮৫ বলে ১২৪ রানে। ক্যারিবীয়দের হয়ে ফোর্ড ৩ উইকেট নিলেও তা যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য।
ইংল্যান্ডের এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। শেষ ওয়ানডে তাই রূপ নিয়েছে সিরিজ নির্ধারণী ফাইনালে।