
নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন সাবিনারা
২০২২ সালে এই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের শিরোপা দলে রাখার লড়াই। প্রতিপক্ষ সেই নেপাল। মাঠও সেই ঐতিহাসিক কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম।
এবারও শতভাগ সফল হলো বাংলাদেশ। নেপালের মেয়েদের ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো বাংলার বাঘিনীরা। দক্ষিণ এশিয়ার রানির মুকুট শোভা পেল বাংলাদেশের মেয়েদের মাথাতেই। টানা দ্বিতীয়বার সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুই দলই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্ত প্রথমার্ধে গোল আদায় করতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও রানার্স-আপ নেপাল।
শুরুতেই ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালি গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগ এসেছিল তহুরার সামনে। তহুরার শট সাইড পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় নেপাল। ১০ মিনিটে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণ করে নেপাল। আমিশা কার্কির শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিক মেয়েরা। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে থাকলে মাঝে মধ্যে বাংলাদেশের রক্ষণ ফাঁকা হয়ে যায়। তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে নেপালের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা।
২৭ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পান নেপালের আমিশা। কিন্তু বল ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। এ সময় রক্ষণে দৃঢ়তা দেখিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষা করে। ৩৩ মিনিটে নেপাল বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। মারিয়া মান্দার শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।
আমিশা কার্কির গোলে স্বাগতিক নেপালও সমতায় ফেরে। মধ্যমাঠ থেকে দারুণ থ্রু পাস ঠেলেন সতীর্থ আমিশাকে। সেখানে বাংলাদেশের ডিফেন্স পরাস্ত হয়। আগুয়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমাকে পরাস্ত করেন আমিশা। ফলে ১-১ সমতা নিয়ে জমে ওঠে সাফের ফাইনাল। স্বাগতিক প্রায় ২০ হাজার দর্শকের শোরগোল সেই রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে তোলে।

এর মাঝে দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করে। তবে আর কেউ গোলের দেখা পাচ্ছিল না, ব্যর্থতা নিয়ে ফিরছিল প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগ থেকে। ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্দা। সেটি ঠেকিয়ে দেন নেপাল গোলরক্ষক আঞ্জিলা। ৭১ ও ৭৬ মিনিটে পরপর দুটি প্রতি-আক্রমণে ব্যর্থতা নিয়ে ফেরে নেপালি মেয়েরা।
পরে বাংলাদেশ ম্যাচে আবারও লিড নেয় ৮২ মিনিটে। বাঁ প্রান্তে থ্রো ইন পায় বাংলাদেশ। মাসুরার থ্রো থেকে বল পান ঋতুপর্ণা চাকমা। দূর থেকে কোণাকুণি এক জোড়ালো শটে ঋতুপর্ণা গোল করেন। নেপালের গোলরক্ষক বল হাতে লাগালেও সেটি পুরোপুরি লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেননি। ফলে জালে জড়িয়ে উৎসবে মাতে বাংলাদেশ।