
গত দুই-তিন সপ্তাহে দ্রব্যমূল্য অনেকটাই বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে- এখন কেন দ্রব্যমূল্য বাড়বে? এখন তো সেই ‘সিন্ডিকেট’ থাকার কথা নয়, ‘চাঁদাবাজি’ও বন্ধ হওয়ার কথা, তাহলে কেন দাম বাড়ছে?
অনুসন্ধানে গিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ জানা গেল। প্রথমত, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অনেক এলাকায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়া, বৈদেশিক মার্কেটে কিছু কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কবলে আটক জনসাধারণ। এসব সিন্ডিকেট নির্মুল করার কথা বলা হলেও বাস্তবে চিত্রটা ভিন্ন।
অবাধ চাঁদাবাজী, সিন্ডিকেটের কবলে অসহায় ক্রেতা
গত দুই-তিন সপ্তাহে দ্রব্যমূল্য অনেকটাই বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে- এখন কেন দ্রব্যমূল্য বাড়বে? এখন তো সেই ‘সিন্ডিকেট’ থাকার কথা নয়, ‘চাঁদাবাজি’ও বন্ধ হওয়ার কথা, তাহলে কেন দাম বাড়ছে?
অনুসন্ধানে গিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ জানা গেল। প্রথমত, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অনেক এলাকায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়া, বৈদেশিক মার্কেটে কিছু কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পূজোর কারণে ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানিতে বিঘ্ন হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের এখন জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন. “আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি, আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
গত বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাসে। অধৈর্য না হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যেও স্বস্তি পাওয়া যাবে।” সুলভ মূল্যে পণ্য পেতে জনগণকে আরও কিছু দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি ১ শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি আমরা মোটামুটি এক জায়গায় থামাতে পেরেছি।”
বাজারে জিনিসপত্রের অনেক দাম- সাংবাদিকরা এমন তথ্য তুলে ধরলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখন কমাবার ব্যাপারে একটু সময় লাগবে। এরই মধ্যে আমরা কিছু ডিসিশন দিয়েছি। তেলের ওপর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়েছি। আজকে চিনির ওপর ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হল।”
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ তদারক ও পর্যালোচনার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। জেলা পর্যায়ে এসব টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা দেশের সব জেলা পর্যায়ে আলাদাভাবে কাজ করবে। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিটি জেলায় বিশেষ এ টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিব হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া টাস্কফোর্সে সদস্য হিসেবে থাকবেন জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি এবং দুজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, “কে বলেছে সিন্ডিকেট নেই, কে বলেছে চাঁদাবাজি নেই। ব্যবসায়ীরা তো আমাদের বলছে, সবই আছে শুধু নাম পরিবর্তন হয়েছে। এগুলো আমরা বলছি না, ব্যবসায়ীরা আমাদের বলছেন। এখন এগুলো যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে কিভাবে?
তবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন. “আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি, আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
গত বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাসে পেরেছে। অধৈর্য না হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যেও স্বস্তি পাওয়া যাবে।” সুলভ মূল্যে পণ্য পেতে জনগণকে আরও কিছু দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি ১ শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি আমরা মোটামুটি এক জায়গায় থামাতে পেরেছি।”
বাজারে জিনিসপত্রের অনেক দাম- সাংবাদিকরা এমন তথ্য তুলে ধরলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখন কমাবার ব্যাপারে একটু সময় লাগবে। এরই মধ্যে আমরা কিছু ডিসিশন দিয়েছি। তেলের ওপর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়েছি। আজকে চিনির ওপর ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হল।”
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ তদারক ও পর্যালোচনার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। জেলা পর্যায়ে এসব টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা দেশের সব জেলা পর্যায়ে আলাদাভাবে কাজ করবে। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিটি জেলায় বিশেষ এ টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিব হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া টাস্কফোর্সে সদস্য হিসেবে থাকবেন জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি এবং দুজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, “কে বলেছে সিন্ডিকেট নেই, কে বলেছে চাঁদাবাজি নেই। ব্যবসায়ীরা তো আমাদের বলছে, সবই আছে শুধু নাম পরিবর্তন হয়েছে। এগুলো আমরা বলছি না, ব্যবসায়ীরা আমাদের বলছেন। এখন এগুলো যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে কিভাবে?
কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের কেজি হয়েছে ৪০০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির মতো পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে। এর আগে গত রবিবার এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, “অনেকগুলো পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুতই মাঠে নামবে টাস্কফোর্স।” কিন্তু টাস্কফোর্স গঠনেও পড়েনি কোন প্রভাব।
কেন প্রভাব পড়ছে না? জানতে চাইলে শেওড়াপাড়ার সবজি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আমরা তো কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে বিক্রি করি। কারওয়ান বাজারের আড়তদাররা আমাদের বলছেন, বন্যায় অনেক এলাকা ডুবে গেছে। ফলে ওই এলাকা থেকে সবজি আসছে না। আবার সবজির ট্রাকে কিছু চাঁদাবাজির কথাও তারা বলছেন। ফলে আমরা তো বুঝতে পারি না, কেন দাম বাড়ছে। আমরা যে দামে কিনি, সেভাবেই বিক্রি করি।”