
রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭ টি মামলা করেছে সিআইডি।
অনুসন্ধানে আসামিরা বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থপাচার প্রতীয়মান হওয়ায় সিআইডি তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপিতে ১৭টি মামলা রজু করেছে।
সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের নামে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল অর্থাৎ গত ৩ বছরে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমান, তার ভাই গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান পোশাক রপ্তানি দেখিয়ে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলদেশি মুদ্রায় প্রায় হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায় যে, তাদের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে তাঁরা। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করার পর রপ্তানিমূল্য চার মাসের মধ্যে দেশে আনার বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে আনেনি তাঁরা। বরং উক্ত অর্থ বিদেশে পাচার করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সিআইডি বলছে, বিদেশে রপ্তানি হওয়া বেশিরভাগ পণ্যই দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান এফ রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আরআর গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ বাংলাদেশে না এনে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা।
এছাড়া সালমান এফ রহমান এবং বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ও বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম সিআইডিতে চলমান রয়েছে।