
আরবী ছফর মাসে শেষ বুধবারকে আখেরী চাহার শোম্বাহ বলা হয়। এদিন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসুস্থতা থেকে সুস্থতা শান প্রকাশ করেন।
এই বিশেষ দিনে উম্মতদের কিছু সুন্নতী আমল রয়েছে। আমলসমূহ-
আখেরী চাহার শোম্বাহ শরীফ তালাশ করা তথা এ মাসের শেষ বুধবার কবে তার ফিকিরে থাকা।
এ দিন সকালে (সকাল ৯.৩০মি. এর আগে) গোসল করা।
পরিবারের সকলের খোজ খবর নেয়া।
রুটি, গোশত ও সিরকা দিয়ে নাস্তা করা।
খুশি প্রকাশ করা।
হাক্বীক্বীভাবে শুকরিয়া আদায় করা।
সাধ্যমতো হাদিয়া করা।
গরিব-মিসকিনদেরকেও দান সদকা করা।
এ মাসে চিকিৎসা করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ইত্যাদি।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান আলোচনা করা।
বর্ণিত রয়েছে- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ তথা ছফর শরীফ মাসের শেষ বুধবার সকালে ছিহহাতি (সুস্থতা) শান প্রকাশ করেন। অতঃপর ভিজা কাপড় দিয়ে সমস্ত জিসিম মুবারক মুছে দেন। অতঃপর হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে রুটি, গোশত ও সিরকা দিয়ে নাস্তা করেন।
অতঃপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের খোঁজ-খবর নেন এবং খুশি প্রকাশ করে মসজিদে নববী শরীফের মধ্যে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। এতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা অত্যন্ত আনন্দিত হন। উনারা অফুরন্ত শুকরিয়া আদায় করেন এবং এ উপলক্ষে উনাদের সাধ্যমতো হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাদিয়া মুবারক পেশ করেন। এছাড়া গরিব-মিসকিনদেরকেও দান সদকা করেন।
কাজেই সমস্ত মুসলমানদের উচিত, আখিরী চাহার শোম্বা শরীফের সুন্নতী আমলগুলো সাধ্যসামর্থ্য অনুযায়ী পালন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি রেযামন্দি হাছিলের কোশেশ করা।
আল্লাহপাক তৌফিক দান করুন।
আমীন।
বিঃদ্রঃ আসছে #বুধবারআখেরীচাহারশোম্বাহশরীফ