
নিজস্ব প্রতিনিধি, ভাষানটেক, ঢাকা :ভাষানটেক থানা এবং কাফরুল থানার নিজস্ব প্রতিনিধি জানান, মোহাম্মদ হাসান আলী মোল্লা, ওরফে হাসান মোল্লা অত্র ভাষানটেক থানার বাসিন্দা। দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জে।আওয়ামী লীগ এর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল পেশীশক্তি ব্যবহার করে হয়রানি সহ এমন কোন এহেন কর্মকান্ড নাই যে তিনি মানুষের সাথে করেন নাই। অন্য সাধারণ মানুষের জমি দখল করে দোকানপাট তৈরি, জমি দখল করে বিক্রয়, জায়গা-জমির কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে প্রতারণা করা সহ নানান রকমের লুটতরাজের মহানায়ক ভূমিদস্যু হিসাবে গণমানুষের কাছে এক বড় আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়ান।


তার স্থায়ী নিবাস গোপালগঞ্জ হওয়ার সুবাদে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকার হওয়ার কারণে প্রভাবশালী শেখ সেলিম সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। কেউ বাধা দিলে হুমকি দিতেন গুম করে ফেলার এমনকি জীবননাশের ভয় দেখাতেন। রাতের আঁধারে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে জমি দখল করে জমির মালিক থেকে স্বাক্ষর করে নিতেন। এলাকায় যারা আওয়ামী লীগ ঘরনার লোক তাদের জন্য ও হুমকির কারণ হয়ে উঠেছিলেন এই হাসান মোল্লা। হাসান মোল্লা ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তথ্য নিয়ে জানা যায় তার বড় ভাই হুমায়ুন মোল্লা শেখ পরিবারের সাথে সখ্যতা থাকায় হাসান মোল্লা এই কাজগুলো সহজেই করতেন এবং হাসান মোল্লার ছোট ভাই রুবেল মোল্লা সব কাজ তদারকি করতেন। ভাষানটেক,দেওয়ান পাড়া, কাফরুল, নামাপাড়া অত্র অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল সহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে জানা যায়। প্রশাসন বিষয়টি জানা সত্ত্বেও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বিগত সময় গুলোতে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগন এবং তার নির্যাতনের স্বীকার সবাই ভূমিদস্যু হাছান মোল্লা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচার দাবি করেন।