
ঢাবি প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ বললে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সংগঠনটির এক সমাবেশ থেকে এমন কথা বলা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি ক্ষুদ্র ?নৃ-গোষ্ঠীদেরকে আদিবাসী বলে সম্বোধন করেনÑ এমন দাবি করে তার ওই সম্বোধনের প্রতিবাদে এবং আদিবাসী শব্দটি প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এ সময় বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে আদিবাসী শব্দের প্রত্যাহার চান এবং দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন ‘দায়িত্বহীন বক্তব্য’ পুনরায় ঘটবে নাÑ এমন নিশ্চয়তা দাবি করেন। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধিরও দাবি জানান।
সমাবেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’-এর আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, আদিবাসী বলতে বুঝায় কোনো দেশ বা স্থানের আদিম অধিবাসী বা অতি প্রাচীনকাল থেকে বসবাসরত জনগোষ্ঠীই ওই অঞ্চলের আদিবাসী। সেই অর্থে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে বসবাসরত বাঙালিরাই এ দেশের আদিবাসী। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন যেসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে তাদের কারো আদিনিবাস বাংলাদেশ নয়, বরং ভারত, মিয়ানমার বা তার আশপাশের এলাকাসমূহ। তাহলে কোন যুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বাংলাদেশের আদিবাসী বলা যেতে পারে?
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্র্থী মুহম্মদ তরীকুল ইসলাম বলেন, কোনো জাতিকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে জাতিসংঘ চার্টার অনুযায়ী ওই জাতি জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ বা স্বায়ত্তশাসন চাইতে পারে। গণভোট করে পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তুলতে পারে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজী সাকিব বলেন, দেশের সংবিধান যেখানে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন দেশে কোনো আদিবাসী নেই, কিন্তু আমরা দেখছি একটি মহল অতি উৎসাহী হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।