
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘(আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনগুলো তাদেরকে অর্থাৎ ঈমানদার বান্দাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এতে ধৈর্যশীল, শোকরগোযার বান্দাদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!
বেমেছাল ফযীলতযুক্ত বরকতময় মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ- যা মুসলিম উম্মাহর রহমত, বরকত হাছিলের ও ঈদ বা খুশি প্রকাশ করার এক সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ! যে দিবসটি এই বছর আগামী ২৯শে ছফর শরীফ পালিত হবে। যা আসতে আর মাত্র ০৫ দিন বাকী। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিনটিই কুল-কায়িনাতে ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ হিসেবে মশহুর। যে মুবারক দিনে মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরুল ইহসান মুবারক বা মারীদ্বী শান মুবারক থেকে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। যার কারণে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই বেমেছাল ঈদ বা খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সমস্ত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র ইজমা শরীফ হয়েছে যে, “যা কিছু আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারকে এসেছেন উনাদের মর্যাদা পবিত্র কা’বা শরীফ এমনকি পবিত্র কুরসী মুবারকও পবিত্র আরশে আযীম মুবারক উনাদের চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি। ” সুবহানাল্লাহ! তায়াল্লুক-নিসবত থাকার কারণে কোনো কিছু যদি এত মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী হয়ে থাকে; তাহলে যে তারিখে, যে দিবসে, যে মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হয়েছেন উনার মর্যাদা-মর্তবা মুবারক কত বেশি হবে সেটা খুব সহজেই অনুধাবনীয়। অর্থাৎ পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার ফযীলত কতটুকু তা ফিকির করতে হবে। অতএব, সকল মুসলমানদের উচিত- এ মুবারক দিনকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করা এবং এ মুবারক দিনের ফযীলত হাছিল করার লক্ষ্যে এখন থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত-মুহব্বতে গরক্ব ব্যক্তি তথা মুসলমানরা সে মুবারক দিনটিকে মা’রিফাত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে যুগ যুগ ধরে ‘মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ হিসেবে পালন করে আসছেন। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতিও সন্তুষ্ট। ” সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের জন্য আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পবিত্র সুন্নত মুবারক অবশ্য পালনীয়। ” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মুসলিম উম্মাহর রহমত, বরকত ও সাকীনা মুবারক হাছিলের এবং ইবরত-নছীহত হাছিল করার, হাদিয়া দেয়ার এবং দান-খয়রাত করার ও ঈদ বা খুশি প্রকাশের একটি ফযীলতপূর্ণ সুমহান দিবস ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’। যে দিবসটি এই বছর ১৪৪৬ হিজরী সনের জন্য আগামী ২৯শে ছফর শরীফ পালিত হবে। যা আসতে আর মাত্র ০৫ দিন বাকী। তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ পালন করার জন্য এখন থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।