
মোঃ আবুল কালাম-ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের রতনপুর ইউনিয়নের যশাতুয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ওসমান আলী চিরবিদায় নিয়েছেন। ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ৭ঃ০০ ঘটিকার সময় বার্ধক্য জনিত কারণে উনার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে শেষ বারের মত দেখতে প্রবাসী দুই ছেলে দ্রুত দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়াই একদিন পর ৮ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় যশাতুয়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পাশের কবরস্থানে শায়িত করা হয়। এর আগে নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ওসমান আলীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ গার্ড অফ অনার করেন। সশস্ত্র সালাম শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী উসমান আলীর বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক এর হাতে নগদ ২০,০০০(বিশ হাজার টাকা)বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট সাজিদ তুলে দেন।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সাহসী যোদ্ধা, যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তার মৃত্যুতে গোটা এলাকাবাসী গভীর শোকের মধ্যে ডুবেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ওসমান আলীর মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অবিস্মরণীয়, এবং তিনি তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের প্রতি নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে গেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, তার মৃত্যু সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসভবনে সমবেত হয়। তার অবদান এবং সাহসিকতা স্মরণে এলাকার মানুষ চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যে তরুণেরা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন কাজী ওসমান আলী। তার সাহস, দেশপ্রেম, এবং ত্যাগ বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে দুই ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও জসিম উদ্দিন উপস্থিত সকলের কাছে বাবার জন্য দোয়া ও ক্ষমা চেয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ওসমান আলী ছিলেন মরহুম কাজী আকামত আলীর ছেলে।