
মোঃ মোহাইমেনুর রহমান সানা :
জলঢাকা উপজেলা গোলনা ইউনিয়নের রহিম ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছে।খবর পেয়ে জলঢাকা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আত্মহত্যার বিষয় বিভিন্ন কান কথা শুনতে পায়।পুলিশ তখন তার সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে আত্মহত্যাটি স্বাভাবিক নয় পারিবারিক অশান্তি এবং নিজ স্বামী দ্বারা মানসিক অত্যাচারের ফলেই এই নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।এরপর জলঢাকা থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে লাস্ট হস্তান্তরের কথা বললে লাশ দিতে তার অশিক্ষিত জানালেও জলঢাকা থানার চৌকস পুলিশ সকল বাধাকে উপেক্ষা করে গতকাল সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় লাশটি থানায় নিয়ে আসে।প্রক্রিয়া শেষে আজ জলঢাকা থানা পুলিশ লাশটি মর্গে পাঠাতে গেলে শুরু হয় পরিবারের লোকজনের থানায় বিশৃঙ্খলা শুরু করে করে এবং লাশ মর্গে পাঠাতে বাধা প্রদান করে।বিশৃঙ্খলার একপর্যায়ে উক্ত পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনসহ কিছু মানুষ রাস্তা অবরোধ করে।জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন মপ তৈরি করে আইনকে বাধাগ্রস্ত করতে আসবেন না।নিয়ম অনুযায়ী লাশ মর্গে যাবে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।এখানে কেউ বাধা দিলে তার ব্যাপারেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।১০ মিনিটের মত পরিবারের লোকজন রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে অবশেষে সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রক্রিয়ার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং উত্তেজনা ছাড়াই এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে অবরোধের মুখে পরা মানুষজন অত্র থানার অফিসার ইনচার্জকে ধন্যবাদ জানায়।