
সাইমন :
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি একাধিক বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গারের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস শেখ হাসিনার আমলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সংস্থাটির সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আর্থিক খাতের সংস্কার, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কেও বিশ্ব ব্যাংককে অবহিত করেন। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ড. ইউনূস ভাষণ দেবেন। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১৪ মাসে নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পদক্ষেপ তুলে ধরা হবে।
প্রেস সচিব আরও জানান, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে, যা ফেরানো এখন সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাইডলাইনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি বলেন, ২০২৬ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করবে। তবে উত্তরণের পর বাণিজ্য সুবিধা হারিয়ে অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যেন একই পরিস্থিতির শিকার না হয়, সে জন্য ডব্লিউটিওর কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যন্থোনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস প্রতিশ্রুতি দেন যে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া নেদারল্যান্ডসের রাণী ম্যাক্সিমা, প্যারিসের মেয়রের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। বুধবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রধানমন্ত্রী, কসোভার প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।