
কবির হোসেন রাকিব-রামগতি, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) :
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে গ্রাসরুট সার্ভিস আউটলেট (জিএএফএসপি -তৃণমূল সেবা কেন্দ্র) প্রকল্পের বরাদ্ধের অর্থে নয়ছয় করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের পার্টনার আমন প্রদর্শনী ২ একর জমির বিপরীতে ইউরিয়া ২০০ কেজি, ডিএপি ১৫০ কেজি, এমওপি ১২০ কেজি, সিংঙ্ক সালপেট ৬ কেজি, জিপসাম ৬০ কেজি, বোরণ ৩ কেজি, জৈব সার ১৭০ কেজি ও ডব্লিউডি পাইপ ৬ কেজি দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার স্বাক্ষরে কৃষককে সার দিয়েছেস মাত্র ইউরিয়া ১০০ কেজি, ডিএপি- ৮০ কেজি, এমওপি ৮০ কেজি ও বোরণ ১.৫ কেজি। এতে প্রকল্পের পঞ্চাশ হাজার টাকার নয়ছয় ব্যাহত করেছে। ফলে প্রকল্পের মহাউদ্যোগটি ভে¯েত চলেছে। এছাড়া ফিল্ড টেকনোলজি ওরিয়েন্টেশন ৮ হাজার ৫০০ টাকা ও বিবিধ ১০০০ টাকা হদিছ নেই।
এখানেই শেষ নয়, কৃষক সেবা কেন্দ্রের জন্য বিশেষ ঘরের বরাদ্ধ দেয়া হয়। এসএসিপি রেইন ওই প্রকল্পে গ্রুপ উদ্যোক্তার সদস্য সংখ্যা হতে পারে ২০ থেকে ৩০ জন। ঘর বাবত প্রকল্পে যার ব্যয় ধরা হয়েছে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক সেবা কেন্দ্র প্রকল্পের ওই ঘরের কোন অস্তিত্ব নেই। বাজারের গলিলে একটি ছোট শাটারযুক্ত ভাড়া (৩৫০০ টাকা) ঘরে প্রকল্পের মালামাল দেখা গেছে। নেই কৃষকদের বসার কোন জায়গা ও আসবাবপত্র।
কৃষকদের প্রাপ্ত উপকরণের মধ্যে রয়েছে, পাম্প মেশিন, স্প্রাই মেশিন, বস্তা সেলাইয়ের মেশিন, সিজার, চট ও একটি কম্পিউটার পিসি। প্রাপ্ত কৃষি উপকরণের আনুমানিক মূল্য হতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা ।
কৃষক সেবা কেন্দ্রের সভাপতি জুয়েল উদ্দিন বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাদের এইসব উপকরণ দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য উপকরণ দিবে বলে আশ^াস দিয়েছেন। আমরা দোকান ঘরের একটি রুমে কৃষকদের নিয়ে আপাতত বসি। আরেকজন কৃষক জানান, আমাদের এই এলকার কৃষকের জন্য চাষের ট্টাক্টর হলে ভালো হয় এবং আমরা উপকৃত হবো।
স্থানীয়রা জানান, কৃষি কর্মকর্তা প্রকল্পের কর্মকর্তাদের হেয় করতে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এর আগেও তিনি পাহাড়ী এলাকা থেকে নানা অনিয়ম করে বিতর্কিত হয়ে আসছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মজিবুর রহমান বলেন, কৃষি সেবা কেন্দ্রে ও পার্টনার আমন প্রদর্শী যেভাবে কৃষকদের উপকরণ দেয়ার কথা সেভাবেই আমরা দিয়েছি। অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।
এসএসিপি প্রকল্পের পরিচালক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, কৃষকদের উদ্যেগী হওয়ার প্রকল্প এটি। এখানে বরাদ্ধে যা কিছু দেয়া আছে; কৃষকরা সবই পাবেন। কৃষক গ্রুপের জন্য একটি বিশেষ ঘর বরদ্ধের অর্থসহ কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প চাইলে কৃষকদের প্রয়োজনে সংযোজন বিয়োজন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের সাথে কাজ করি। কৃষককে আধুনিক করা চেষ্টায় কাজ করি। কৃষি ফসল বেশি উৎপাদন ও উদ্যোক্ততা তৈরীর জন্য আমরা সব সময় বদ্ধপরিকর। তবে কৃষকদের সাথে প্রতারণা বা কৃষককে ঠকানোর প্রশ্নই উঠে না। এবিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি।