
সুমন খান :
রাজধানীর শ্যামলী আদাবর থানার সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হোটেল পদ্মাকে কেন্দ্র করে চলছে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ। সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, হোটেলটির মালিক দুলাল ও ম্যানেজার ওবায়দুরের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় এ ব্যবসা চলছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হোটেলটিতে সন্দেহজনক নারী-পুরুষের অবাধ আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। ভুক্তভোগী এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, হোটেলটির প্রতিটি কক্ষে প্রায় প্রতিদিনই অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো হয়। এর ফলে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং তরুণ প্রজন্ম নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
মালিক ও ম্যানেজারের স্বীকারোক্তি:
অনুসন্ধানের সময় হোটেলের মালিক দুলাল এবং তার ম্যানেজার ওবায়দুরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা অকপটে বলেন—
“প্রশাসনকে আমরা ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।”
তাদের এই বক্তব্যে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন এবং প্রশ্ন তোলেন—কীভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন বেআইনি কার্যকলাপ এতদিন ধরে চলে আসছে?
প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে :
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে হোটেল পদ্মার কার্যকলাপ সম্পর্কে তারা প্রশাসনকে অবহিত করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি এ ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন।
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের অবাধ অসামাজিক কার্যকলাপ শুধু নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করছে না, বরং অপরাধপ্রবণতাও বাড়িয়ে তুলছে। সমাজে অস্থিরতা, অশান্তি ও মাদক সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপ বিস্তারে এ ধরনের হোটেল একটি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্থানীয়রা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, হোটেল পদ্মার অসামাজিক কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করে মালিক দুলাল ও ম্যানেজার ওবায়দুরের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূমিকা স্বচ্ছভাবে তদন্ত করার জোর দাবি জানান তারা।