
কবির হোসেন রাকিব-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র ডগায় বসে খাজনা-দাখিলাসহ নানা কাজে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার উপজেলার চরলরেন্স তহশিল অফিসে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তা আবুল কাশেম (জাফর),’বহিরাগত’ লোক চেয়ারে বসিয়ে অফিসপরিন্থী কাজ করেন।
এতে একদিকে নদীভাঙা মানুষের পকেট কেটে নেয়া; অন্যদিকে সরকরী সেবার স্থলে নিজেদের পকেট ভারী করা।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার চেয়ার ‘ফাঁকা’। পাশের চেয়ারে বহিরাগত এক লোক বসে কাজে দেখা গেছে। অভিজ্ঞ ও সরকারের গোপনীয় জায়গায় আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বহিরাগত অনভিজ্ঞ লোক অফিস শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়া কিছুই না। উপজেলা ভূমি অফিসের নাকের ডগায় এমন কাজে সর্বস্ত্মরের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চরলরেন্স এলাকার রুবেল নামে এক ব্যক্তি থেকে ১৪ হাজার টাকার খাজনা নিয়ে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকার রশিদ দেয়া হয়েছে। এভাবে দিনের পর দিন অফিসে কাজের নামে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে সর্বশান্ত করেন ভুক্তভোগীদের। চরলরেন্স করইতলা বাজারের ফিরোজ আলম বলেন, আমি একটি নামজারি করতে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে চরলরেন্স ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, খাজনার নামে অতিরিক্ত নেয়ার কোন বিধান নেই। সরকারী নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয় না।