
মুহাম্মাদ রমজান মাহমুদ :
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার সাতজন ভিক্ষুক পুনর্বাসন করা হয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে তাঁরা পেলেন কর্মের ঠিকানা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনি আর ভিক্ষা করবেন না। সকালে উপজেলার ভূমদক্ষিণ বাজার এলাকায় ছয়জন ভিক্ষুককে ছয়টি দোকান এবং একজনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বিতরণ করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী সুবিধাভোগীদের হাতে দোকান ও অটোরিকশার চাবি তুলে দেন।
সুবিধাভোগীরা হলেন সিঙ্গাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী গ্রামের ফাতেমা বেগম, উপজেলার উত্তর জামশা গ্রামের সমসের আলী, ভূমদক্ষিণ গ্রামের সালেহা খাতুন, বড়বাকা গ্রামের আজমত আলী, দক্ষিণ জাইল্যা গ্রামের সজল মিয়া, পাড়াগ্রাম গ্রামের মোমেন বেগম ও পূর্ব ভাকুম গ্রামের গোনাই বিবি। তাঁরা সবাই ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
দোকান ঘর ও অটোরিকশার চাবি দেওয়ার সময় বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল বাতেন, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সমাজসেবা বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। সরকার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাঁদেরকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে কাজ করছে। সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুনর্বাসিত ব্যক্তিরা এখন থেকে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে সমাজে মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।