
মোঃ জাহিদ হোসেন জিমু-গাইবান্ধা :
গাইবান্ধায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আসিব ফয়সাল লেলিন এর অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও সামাজিক অবক্ষয়ে বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে শহরের ডিবি রোডে গানাসাস মার্কেটের সামনে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সচেতন গাইবান্ধা বাসীর আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে বেহায়াপনা ও সামাজিক অবর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে গাইবান্ধায় ভয়াবহ হারে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত অনেক ভিডিও ও লাইভে কুরুচিপূর্ণ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রচার করা হচ্ছে, যা তরুণ সমাজকে বিপথগামী করছে।
এমনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আসিব ফয়সাল লেলিন। সে একজন নারী পিপাসু। বিভিন্ন অসহায় নাবালিকা মেয়েদের ফেসবুক ইনকামের কথা বলে ও ভাইরাল করে দেওয়ার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সমাজে বদনাম ছড়াচ্ছে। এই আসিব ফয়সাল লেলিন কয়েক বছর আগে শহরের এক নাবালিকা মেয়েকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার প্রলোভন দেখিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে সেই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই নাবালিকার পিতা অপহরণ মামলা করে তার মেয়েকে উদ্ধার করে এবং লেলিনকে আইনের আওতায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কিছুদিন পর আরো একটি নাবালিকা মেয়েকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার প্রলোভন দেখিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই মেয়ে আসিব ফয়সাল লেলিনের বিভিন্ন মেয়ের সাথে আপত্তিকর ছবি দেখে জানতে পারলে আসিব ফয়সাল লেলিন সেই মেয়ের উপর অনেক অত্যাচার করে। সেই মেয়ে কোনো উপায় না পেয়ে নারী পিপাসু আসিব ফয়সাল লেলিনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন এবং মামলাটি চলমান রয়েছে। তবুও এই নারী পিপাসু আসিব ফয়সাল লেলিন থেমে নেই। একেরপর এক নাবালীকা মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও করে সামজে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে।
মোঃ সাব্বির বলেন এই অশ্লীলতার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করলে লেলিনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ও আমার সাথের বন্ধুদের হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি মারধর করে এবং আমার কাছে থাকা নগদ ২০,৫০০/- টাকা নিয়ে যায়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই নারী পিপাসু আসিব ফয়সাল লেলিন তার অপকর্ম ঢাকার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে এবং গাইবান্ধা সদর থানায় মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করে। আমরা সবাই আসিব ফয়সাল লেলিন এর বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।