
সুমন খান :
রাজধানীর ভাটারা থানা ও বসুন্ধরা রোডের অভিজাত এলাকায়, এভার কেয়ার হাসপাতালের একেবারে পাশে গড়ে উঠেছে বহুল আলোচিত “হোটেল নিউ পদ্মা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক! নামমাত্র আবাসিক হোটেলের আড়ালে এখানে প্রতিনিয়ত চলছে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ। এলাকার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, হোটেলটির পুরো নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করছে ম্যানেজার সবুজ ও তার কিছু সহযোগী নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা দিন দিন আরও বিস্তৃত হচ্ছে।
অভিযোগের পাহাড় অনেকেই””
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হোটেলটিতে নারী-পুরুষের অবাধ আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। এলাকাবাসী অভিযোগ করছে, এখানে শুধু অনৈতিক সম্পর্কই নয়, বরং মাদক ও ইয়াবা লেনদেনেরও আড্ডাখানা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে—
“এভার কেয়ার হাসপাতাল, বসুন্ধরা রোড ও ভাটারা থানার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে।”
প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা
হোটেলটির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা একাধিকবার অভিযোগ করলেও, কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের ভেতরে প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদেই হোটেলটি টিকে আছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা এখন বড় প্রশ্নের মুখে।
আশেপাশের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত এই হোটেলের কার্যক্রমে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রোগী, অভিভাবক ও সাধারণ পথচারীরা প্রতিনিয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।
এলাকাবাসীর দাবি করে বলেন, স্থানীয়রা অবিলম্বে হোটেল নিউ পদ্মা ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ এবং সবুজসহ সংশ্লিষ্ট দায়ীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, “অভিজাত এলাকায় এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে দেওয়া মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া।”