
কবির হোসেন রাকিব-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাদ্যবান্ধবের চালে ভেজালের অভিযোগ কার্ডধারীদের। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে চাল বিতরণকালে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ডিলাররা বেকায়দায়। চাল নেয়া ব্যক্তির সাথে কার্ডধারীর নাম ঠিকানা অমিল। আবার একজনের চাল অন্যজনে নিতে আসেন। ফলে তালিকার সাথে কার্ডধারীর পার্থক্য আকাশ-পাতাল। অনেক ডিলার কার্ডধারীর সাথে সম্পর্কের মিল না থাকায় চাল না দিয়ে ফিরে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সংশোধন করলে চাল দেওয়ার আশ্বাস দেন।
ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খাদ্যবান্ধবের চালের বস্তায় ভেজাল। এটা খাদ্যগুদাম থেকে ভেজাল দেয়া হয়। নগদ টাকায় সরকারী সুবিধা নিতে এসে পুরান ও দুর্গন্ধ চাল নিতে হয়। এটা দুঃখ্যজনক। বস্তার ভেতর পুরান-নতুন চাল মেশানো। তারা আরো বলেন, এটা ‘কালো বাজারীদের’ সাথে গোপন আতাঁত রয়েছে। গুদামের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই পুরানো চাল বস্তায় ভরে মেশিনে সেলাই করে দেয়া হয়। আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে বিচার চাই! অথচ ভিজিডি’র চাল খুব ভালো। উপজেলার খাদ্য অফিসার মনিটরিং করলে দেখতেন; কি খারাপ চাল দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডিলার বলেন খাদ্যবান্ধবের চালে প্রচুর ভেজাল। আমাদেরকে বস্তা দেয়; আমরা কার্ডধারীদেরকে আবার বস্তা বিতরণ করে দেই (প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি)। তবে চাল বিতরণে মাটিতে কিছু চাল পড়েছে; সেগুলো এমনই মনে হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারের আওতায় কার্ডধারী সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৩৬২ জন। রবিবার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে ডিলাররা চাল দিচ্ছেন। অধিকাংশ
এবিষয়ে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী মনে করছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।