
মনিরুজ্জামান মনির :
ডিজিটাল বিপ্লবের এই যুগে কেবল অক্ষরজ্ঞান নয়, ডিজিটাল সাক্ষরতাও এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ—এই মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ০৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালি টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জনাব মোঃ ইসরাইল হোসেন।
এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক গঠনমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের সাক্ষরতা আন্দোলনকে এখন ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে নিতে হবে। কেবল বই পড়াই যথেষ্ট নয়, এখন প্রয়োজন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে তথ্য আহরণ, বিশ্লেষণ এবং সঠিক-ভুল তথ্য চিহ্নিত করার সামর্থ্য অর্জন। ডিজিটাল সাক্ষরতাই একবিংশ শতাব্দীর চতুর্থ শক্তি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জেলা প্রশাসন ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সমন্বয়ে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডিজিটাল সাক্ষরতা কার্যক্রম ছড়িয়ে দিচ্ছি। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে আরো অনেক মানুষ কে সাক্ষরজ্ঞান দিতে আমরা কাজ করছি।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মৌলভীবাজার জেলার পরিচালক, জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ। তারা সকলেই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সাক্ষরতা হার আরও ত্বরান্বিতে পৌঁছান ডিজিটাল কনটেন্ট বিকাশের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ Vision বাস্তবায়নে এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG-4) অর্জনে ডিজিটাল সাক্ষরতা is an indispensable tool. স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বয়স্কদের কে ও এই উদ্যোগ আওতায় আনা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী,সেইসাথে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে এই initiativeকে গণমাধ্যমের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে their commitment প্রকাশ করেন।
আয়োজন কারী pihak হিসেবে, জেলা প্রশাসন এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, মৌলভীবাজারের সমন্বিত উদ্যোগ এই অনুষ্ঠানকে করেছেন আরো meaningful তারা বিশ্বাস করে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং মিডিয়ার সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে illiteracy এটি শীঘ্রই নির্মূল করা হবে এবং educated এক digitally literate জাতি গঠন করা সম্ভব হবে।