
কবির হোসেন রাকিব-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ ডিলারদের বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এ অনিয়মের একটি অংশ উপজেলার বাহিরের পকেটে যায়।
অফিসসূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে ২০ জন ডিলারের বিপরীতে সুবিধাভোগী রয়েেেছ ৭ হাজার ৩৬২জন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভোক্তারা মোট চাল পেয়েছেন ২শ চার মে.টন প্রায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্ডধারীদের প্রতি বস্তায় দেড় থেকে ২ কেজি কিংবা আরো বেশি কম দেয়া হয়। এতে প্রায় দেড় মে.টন চাল ওজনে কম পায় ভোক্তারা। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুব আলম অফিসে বসেই বিতরণ অনিয়ম কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন। যার ফলে সরকারের সুনামের স্থলে বদনাম ছড়াচ্ছে।
তারা আরো বলেন, ডিলাররা ভোক্তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যের টাকা নিয়ে নানা অজুহতে প্রায় দুই কেজি করে চাল ওজনে চাল কম দিচ্ছেন। কিছু কিছু ডিলার সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজেদের পছন্দমতো সময়ে মোবাইলে ‘দায়সাড়া’ ম্যাসেস দিয়ে ভোক্তাদের চাল নিতে বাধ্য করে। নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ভোক্তারা তাদের ধার্যকৃত তারিখে উপস্থিত হন। যারা উপস্থিত হতে পারেন না তাদেরকে নানা ধরণের হয়রানিসহ মাসুল দিতে হয়।
অনেক সময় ডিলারের ঘোষিত সময়ের পরে চাল নিতে আসলে বস্তাপ্রতি পাঁচকেজি ওজনে কম দেয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে নাসিরগঞ্জ ফজলে ষ্টোর, চরকালকিনি মতিরহাট সামি ষ্টোর, তোরাগঞ্জ মেসার্স নাহার ট্টেডার্স ও ফাজিল বেপারীরহাট যায়েদ ট্টেডার্সে কয়েকজন ভোক্তার সাথে কথা হলে তারা বলেন, আপনার পত্রিকায় লিখলে পরে আমাদের উপর নানা ধরণের সমস্যা হয়। এমনকি কার্ড থাকলেও চাল না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি সহ্য করতে হয়। তাই নাম না দেওয়ার অনুরোধ ভোক্তাদের।
তাদের দাবি ডিলার যা করেন সকল অনিয়মের ট্যাগ অফিসসারদের যোগসাজশে করেন। উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা খাদ্যবান্ধবের চাল ছাড় দিয়েছি। চাল উত্তোলনে কোন ধরণের টাকা পয়সা নেয়ার বিধান নেই। আমি ইউএনওর সাথে পরামর্শ ও যোগাযোগ মেনটেইন করে চলি।