
সাইমন :
ঢাকার সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরে অবস্থিত ১২১ নং যাদুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অভিভাবক ও সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হৃদয়স্পর্শী গজল পরিবেশন করে এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ, শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরে আলোচনা করে। আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.)-এর জীবনই মানবতার জন্য অনুকরণীয় ও সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত। তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করলেই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও সত্যিকারের ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা আক্তার , সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান , মোকতার হোসেন, মাহফোজা আক্তার এবং সেলিনা ওয়াজেদ। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মিলাদুন নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে সৎ, আদর্শবান ও পরিশ্রমী হয়ে বেড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের আবহ তৈরি করে।
প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা আক্তার তাঁর বক্তব্যে বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা ও সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন—
“আমাদের স্কুলে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে আমাদের একটি বড় সমস্যা হলো স্কুলের মাঠ। সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠ পানিতে তলিয়ে যায় এবং চারপাশে নোংরা পরিবেশ তৈরি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, চলাফেরা ও শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। উপর মহলের কর্তৃপক্ষ যদি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন এবং মাঠে মাটি ভরাট ও চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ করে দেন, তবে আমাদের স্কুলের পরিবেশ আরও সুন্দর ও উন্নত হবে।”
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা প্রতিবছরই ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) উদযাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। দিনটিতে সবাই একসাথে মিলিত হয়ে গজল পরিবেশন, আলোচনা ও মিষ্টি খাওয়ার মাধ্যমে দারুণ আনন্দ উপভোগ করে।
অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে তারাও মাঠ ও অবকাঠামোগত সমস্যার দ্রুত সমাধান চান। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার ও চারপাশে প্রাচীর নির্মাণে উদ্যোগ নেবেন, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে।
📌 সর্বমোট এ আয়োজন শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা, ঐক্যবদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।