
জুলফিকার আলী জুয়েল :
যানজট ও জনদুর্ভোগ নিরসনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) আগস্ট মাসব্যাপী ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ পালন করছে। এ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে সড়ক ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলায় আনতে যানবাহন মালিক ও চালকদের জন্য একাধিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বিআরটি লেন, ফ্লাইওভার ও মূল সড়কে রিক্সা ও অটোরিক্সা প্রবেশ করতে পারবে না। মূল সড়ক থেকে অন্তত ১০০ ফুট ভেতরে অবস্থান করতে হবে এসব যানবাহন। চালকের পাশে বসিয়ে যাত্রী পরিবহন বন্ধে সতর্ক করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া উল্টো পথে গাড়ি চালানো, নির্ধারিত স্থান ছাড়া পার্কিং, মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, যেখানে-সেখানে ওভারটেকিং ও ইউটার্ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাসপাতালের সামনে হর্ন বাজানো যাবে না এবং নির্ধারিত গতিসীমার বাইরে গাড়ি চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ জানায়, ট্রাফিক সপ্তাহ শুরুর পর থেকেই নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে কাগজপত্র যাচাই, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের বিরুদ্ধে মামলা ও অবৈধ পার্কিং অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জিএমপি ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “জনস্বার্থে আমরা এ অভিযান চালাচ্ছি। ট্রাফিক আইন না মানার কারণে নগরীতে প্রতিদিনই যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নাগরিকদের সচেতন করার জন্যই ট্রাফিক সপ্তাহ আয়োজন করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্দেশনা না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এ অভিযানের মূল লক্ষ্য শাস্তি নয়, সচেতনতা বৃদ্ধি।
পুলিশ নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি জনস্বার্থে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছে।