
সাইমন :
আজ বুধবার, ২০ আগস্ট, সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় পালন করছে পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা। হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবারকে স্মরণ করা হয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রোগমুক্তির দিন হিসেবে।
‘আখেরি চাহার শোম্বা’ ফারসি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ— শেষ বুধবার। ইসলামী ইতিহাস অনুযায়ী, ১১ হিজরির সফর মাসে, নবুয়তের ২৩তম বছরে, দীর্ঘ অসুস্থতার পর এই দিনেই কিছুটা সুস্থতা লাভ করেছিলেন মহানবী (সা.)। এ দিন তিনি শেষবারের মতো গোসল করেন, মসজিদে গিয়ে নামাজের ইমামতি করেন এবং সাহাবিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নবীজির (সা.) রোগমুক্তির খবরে সাহাবায়ে কেরামরা আনন্দ প্রকাশ করেন। তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দান-সদকা করেন, পশু কোরবানি দেন এবং দাসদের মুক্ত করেন। সেই ধারাবাহিকতায় মুসলমানরা আজও দিনটিকে দোয়া, ইবাদত, দান-সদকা ও নেক আমলের মাধ্যমে স্মরণ করে থাকেন।
যদিও শরিয়ত অনুযায়ী এ দিনকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের বিধান নেই, তবুও ইতিহাস ও তাৎপর্য মনে রেখে অনেক মুসলমান এ দিন বিশেষ আমল করে থাকেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ কর্মসূচি
আখেরি চাহার শোম্বা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত। এসব আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশেও দিনটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। দোয়া, কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও দান-সদকার মাধ্যমে মুসলমানরা মহানবী (সা.)-এর জীবনের এই অধ্যায় স্মরণ করে থাকেন।
মূল শিক্ষা
আখেরি চাহার শোম্বা আমাদের শিক্ষা দেয়— রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, নেক আমলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং প্রিয় নবীজির (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ। এই দিনে মুসলমানরা আল্লাহর রহমত কামনা করে নিজেদের ও সমগ্র উম্মতের জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করেন।