
ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ আবু নাছের অর্পণ :
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের (UNHRC) কান্ট্রি অফিস স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কলেজ স্টুডেন্টস ফোরামের শিক্ষার্থীরা। আজ ১৯ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলে, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক মূল্যবোধের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে। কারণ পশ্চিমা শক্তিগুলো মানবাধিকার ইস্যুকে অন্য দেশের উপর আগ্রাসনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ছাত্ররা বলেন, পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে মানবাধিকার বলতে বোঝানো হয় সমকামিতার বৈধতা, পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি ও ভ্রূণহত্যার অনুমোদন-যা বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাদের মতে, মানবাধিকার রক্ষার নামে যদি পশ্চিমা এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে দেশে সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি হবে।
ছাত্র সমাজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ অফিস পাহাড়ি এলাকায় অস্থিতিশীলতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ বাড়িয়ে তুলবে। আয়োজকদের ভাষায়, ভবিষ্যতে বিভিন্ন অজুহাত তৈরী করে বলা হবে, বাঙালীরা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। সাজেকসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের দাবি উঠবে, সেনা ক্যাম্প সরানোর চাপ আসবে, স্বায়ত্তশাসনের দাবী উঠবে, এমনকি পূর্ব তীমুর বা দক্ষিণ সুদানের মত পাহাড়কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নাতুন। রাষ্ট্র তৈরীর ঘোষণাও আসতে পারে। যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য খুবই আশঙ্কার বিষয়।
মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে বিভিন্ন শ্লোগান প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. Say NO to UN’s Agenda of Destroying Our Values!
২. No UN Human Rights Office in Dhaka – Protect Our Sovereignty!
. Homosexuality and Prostitution Are Not Human Rights!
৪. মানবাধিকার নয়, জাতিসংঘ অফিস মানেই পাহাড় আলাদা করার ছক!
2. Silent on Palestine Genocide, Active in Bangladesh UNHRC Shame!
৬. ফিলিস্তিনের গণহত্যায় নীরব, বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব -মানবাধিকার নয়, এটা নাটক।
৭. ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস চাই না, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করো।
৮. মানবাধিকার: পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের হাতিয়ার।
৯. মানবাধিকার রক্ষার নামে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলবে না।
১০. দেশীয় মূল্যবোধ রক্ষা করো, বিদেশি চাপ প্রত্যাখ্যান করো।
আয়োজক কলেজ স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বান-ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তারা মনে করে, দেশের সার্বভৌমত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় এখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।