
নাজমুল আলম মুন্না-সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে গত সাত মাসে ৩ কেজির অধিক স্বর্ণসহ ৪৫ কোটি টাকার পন্য জব্দসহ আটক ২৬ জন।
বিজিবি জানায় সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে রাত গভীর হলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে চোরাচালান চক্র। কখনও নদীপথ, কখনও বা পায়ে চলা গোপন পথ, দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, স্বর্ণের বার, রুপা, প্রসাধনী, ঔষধসহ বিভিন্ন কাপড় ও মালামাল।
রাতারাতি কোটিপতি বনে যেতে পারাপারে সক্রিয় রয়েছে স্থানীয় অনেকগুলো শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যাদেরকে প্রতিনিয়ত কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখে তাদের অবৈধ পণ্যসামগ্রীসহ পণ্য পাচারকারিদের আটক পূর্বক ব্যাপক হুমকির মুখে রেখেছেন সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মাত্র সাত মাসে সাতক্ষীরা সীমান্তে একের পর এক অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সদস্যরা প্রায় ৪৪ কোটি ৯৪ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার চোরাচালানী পণ্য জব্দ করেছে। এ সময় ২৬ জন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। যাদের অনেকেই পেশাদার চোরাকারবারী চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
বিজিবির তথ্যানুযায়ী গত ৭ মাসে ৩ কেজি ১৭৫ গ্রাম স্বর্ণ, ৯০ পিস ডায়মন্ডের নাকফুল, ২৯ কেজি ৪১৫ গ্রাম রুপা, ২১৮৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৩১২ বোতল বিদেশি মদ, ১০.৫ কেজি গাঁজা, ২৫,৯৭০ পিস ইয়াবা, ৩০২১০ হাজারের বেশি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, কসমেটিকস, ওষুধসহ বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য জব্দ করেছে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সদস্যরা।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসিজি জানান, বিজিবি সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী, বিজিবি সীমান্তে জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। বিশেষ করে সীমান্তে মানব ও মাদক পাচারে ”জিরো টলারেন্স” নীতি বাস্তবায়নে সর্বদা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)।
ভারতের সঙ্গে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের ৫৪ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে চোরাচালান দমনে দেশের আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)। উল্লেখ্য. ধারাবাহিক অভিযানে সম্প্রতি নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)