
সাইমন :
মার্কিন প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির কারণে চীন ও ভারতের পোশাক রফতানি ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বক্রেতাদের নজর এখন বাংলাদেশে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের অর্ডার দ্রুত বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি) জানায়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫২ কোটি ডলারের টি-শার্ট আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এসেছে ৩৭ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য, যা নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস ও চীনকে পেছনে ফেলেছে। এটাই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের টি-শার্ট বাজারে বাংলাদেশের শীর্ষ অবস্থান।
শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, চীন ও ভারতীয় পণ্যে বাড়তি শুল্কের কারণে ক্রেতারা দ্রুত অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তর করছেন। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। স্প্যারো গ্রুপ ও স্নোটেক্স গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে বাড়তি ক্রয়াদেশ পেয়েছে।
অন্যদিকে চীনা বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে নতুন কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বেপজা অঞ্চলে ইতোমধ্যে কয়েকটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি রাজশাহীতে ২২ বছর পর পুনরায় চালু হয়েছে একটি টেক্সটাইল মিল, যেখানে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ পেয়েছেন।
তবে এ খাতে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকট, এলসি জটিলতা, ঋণখেলাপি ও কারখানা বন্ধের মতো বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে। গত এক বছরে শুধু সাভার ও গাজীপুর অঞ্চলে শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, ব্যাংকিং সুবিধা ও শ্রমিক দক্ষতা নিশ্চিত করতে পারলে ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।